সরিষাবাড়ীতে জমি জবর দখলের চেষ্টার অভিযোগ।
তৌকির আহাম্মেদ হাসু, সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি ঃ
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে জমি জবর দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার সেঙ্গুয়া মধ্য পাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে,সরিষাবাড়ী উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের সেঙ্গুয়া মধ্য পাড়া গ্রামের আঃ রশিদ তার পৈতিক সূত্রে প্রাপ্ত ১ একর ৩০ শতাংশ জমিতে ভোগবান রয়েছে। ভোগবান জমিতে র্স্বণ ফাইভ জাতের বীজতলা করেছেন। আব্দুর রশিদের ভোগবান জমি জবর দখল করার জন্য একই গ্রামের পাশের বাড়ীর আলহাজ আব্দুল মান্নান ও তার লোকজন বিভিন্ন সময় নানা হুমকি প্রদান করে আসছে।
পরে আব্দুর রশীদ জমিতে যাতে প্রতিপক্ষ আলহাজ আব্দুল মান্নান ও তার লোকজন জোরামূলে প্রবেশ করে জবর দখল করিতে না পারে সে জন্য গত ২৫ আগষ্ট জামালপুরের সরিষাবাড়ী সিনিয়র সহকারী জজ আদালত আ: রশিদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
দালত প্রতিপক্ষের প্রতি সমন নোটিশ জারী করেন।ওই নোটিশ পেয়ে প্রতিপক্ষ ক্রয়মূলে দাবীদার আলহাজ আঃ মান্নান এর নেতৃত্বে তার ছেলে চাঁন মিয়া,নুরুল ইসলাম,ভাতিজা আজাহার আালী,জলিল,রুবেল,সোহেল,মোফাজ্জল,শাহজাহান,নাতিন মিলন মিয়া ও বাবু মিয়া, ইসমাইল সহ ভাড়াটিয়া ২৫/৩০ ক্যাডার নিয়ে আঃ রশিদের লাগানো ২৫ শতাংশ জমিতে রোপিত র্স্বণ ফাইভ জাতের বীজতলার চারা উত্তোলন করে ক্ষতিগ্রস্থ সহ বাশের খুটি দিয়ে জমি জবর দখল করে সীমানা নির্ধারন করতে চেষ্টা করে।
পরে পৈতুক সূত্রে প্রাপ্ত ভূমি মালিক আঃ রশিদ ও তার লোকজন স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তির অনুরোধে জবর দখল না করে চলে যান। প্রতিপক্ষ আব্দুল মান্নানের লোকজন আবারও যে কোন দিন ও সময়ে লোজজন নিয়ে সংঘটিত হয়ে খুন করে হলেও ওই জমি জবর দখল করে নিবে বলে প্রকাশ্য হুমকি প্রদান করে চলে যায়।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, জমি জবর দখলকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ যে,তপছিল- জেলা-জামালপুর,উপজেলার-সরিষাবাড়ী উপজেলার মৌজা-সেঙ্গুয়া মধ্যে-সিএস খতিয়ান নং-৩০,দাগ নং-৩৪৮,আরওআর খতিয়ান নং-০৯,দাগ নং-৩৪৮,বিআরএস খতিয়ান নং-১৮৩, দাগ নং-৬৭৩,জমির পরিমান ৮৩ শতাংশের কাতে ২৫ শতাংশ জমি নিয়ে র্কোটে মামলা চলমান রয়েছে।
উক্ত জমিতে দখলে গেলে আদালত অবমাননা হবে জেনে সেঙ্গুয়া মৌজার অন্য দাগের সাবেক ৩৪৯ দাগে মোট ৫ একর ২০ শতাংশের কাতে আব্দুর রশিদ ভোগ-দখলীয় ১ একর ৩০ শতাংশ জমির মধ্যে ২৫ শতাংশ জমি জবর দখলের চেষ্টা করে।