শ্রমিক দলের নেতা এখন শ্রমিক লীগের আঞ্চলিক শাখার সভাপতি, দল বদলের রহস্য ফাঁস
তৌকির আহাম্মেদ হাসু , সরিষাবাড়ী(জামালপুর)প্রতিনিধিঃ
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে জাতীয় শ্রমিক লীগ সরিষাবাড়ী আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন কে নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানান গুঞ্জনধ্বনিত হচ্ছে বলে জানা যায়।কারণ শ্রমিক লীগের এই নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন সহ চার নেতা ২০০৩ সালে শ্রমিক দলে যোগ দান করে ছিলেন বলে জানা গেছে। কিন্ত পরবর্তীকালে কখন, কিভাবে, কার হাত ধরে আওয়ামী লীগে প্রত্যাবর্তন করেন তার কোন বাস্তবিক প্রমাণ নেই।
তাই প্রকৃত মুজিবপ্রেমী ভক্তদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সে কত সনে শ্রমিক দল হতে শ্রমিক লীগে যোগদান করেছে। জানা গেছে যমুনা সারকারখানার শ্রমিক লীগ নেতা ও সাবেক (সিবিএ) সাধারন সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন একজন সুবিধাবাদী স্বার্থান্বেষী নেতা। সে প্রকৃতই বিএনপি’র গুপ্ত এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন বলে আখ্যায়িত করছেন আওয়ামী লীগের সচেতন মহল।
তিনি তৎকালীন বিএনপি’র ছায়াতলে থেকে দাপটের সাথে চলেছেন এবং সন্ত্রাসিক নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে জানা যায়। সে জিয়াউর রহমানে আর্দশে লালিত পালিত জিয়া সৈনিক। সে কখনোই মুক্তিযোদ্ধা চেতনার পক্ষে ছিলেন না। তথাপি মুজিবের আদর্শকে উপেক্ষা করে মুুক্তিযোদ্ধার চেতনার বিরোধী মনোভাব মনাঙ্গনে পোষে চুপি সারে খোলস বদলিয়ে ঢুকে পড়েছেন আওয়ামী লীগে। কিন্তু আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতারা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তার দল বদলের গুপ্তরহস্য।
আরও জানা গেছে-যমুনা সারকারখানা শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ)কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শ্রমিক দলে যোগদান করেন শ্রমিক লীগের চার নেতা। তন্মধ্যে শ্রমিক দলে যোগদানকারী এই চার নেতারা হলেন-জেএফসিএল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ)এর সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেন মন্ডল,সাধারন সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন,সহ সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান,সহ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম লেবু। শ্রমিক লীগ থেকে যোগদানকারী তৎকালীন সিবিএ’র সাথে একাত্বতা ঘোষনা করে শ্রমিক দলে যোগদান করে ছিলেন।
যা জামালপুর থেকে প্রকাশিত “সাপ্তহিক ঝিনাই”পত্রিকায় ২০০৩ সালের ১৩ই মে সোমবার “যমুনা সারকারখানার শ্রমিক লীগের ৪ নেতার শ্রমিক দলে যোগদান” সংবাদ শিরোনামে প্রকাশিত হয়ে ছিল বলে সংঘৃষ্ট।