যমুনা সারকারখানার টেন্ডারের কাজ নিয়ে দু-গ্রুপে সংঘর্ষে আহত-৫
তৌকির আহাম্মেদ হাসু, স্টাফ রিপোর্টারঃ
জামালপুরের সরিষাবাড়ীর তারাকান্দিতে অবস্থিত যমুনা সারকারখানার ই-টেন্ডারের কাজ নিয়ে দু-গ্রুপে সংঘর্ষে উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি সহ উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের তারাকান্দি গেইটপাড় খাজা মার্কেটের শাহ আলম এর ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে।এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান আবুল হোসেন এর ছেলে গোলাম মোস্তফা (বাবু) যমুনা সারকারখানার টেন্ডার নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত চাঁদাবাজি করে
আসছে।
স্থানীয় ও থানায় দায়ের করা অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে,সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের মৃত শাহেদ আলীর ছেলে মেসার্স মালেকা এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ই-টেন্ডারের মাধ্যমে যমুনা সারকারখানার ১৮ হাজার ৫’শ কেজি পাটের সুতলী সরবরাহের জন্য গত ১৫ জুলাই তারিখে দরপত্র উন্মুক্ত করা হয়।উক্ত কাজটি সর্ব নিম্ন দরদাতা হিসাবে মেসার্স মালেকা এন্টারপ্রাইজ প্রতিষ্ঠান কাজটি প্রাপ্ত হয়।সুতলী সরবরাহের গোলাম মোস্তফা (বাবু) সহ অনান্যরা ই-টেন্ডারে অংশ গ্রহন করলেও কাজ না পাওয়ায় মেসার্স মালেকা এন্টারপ্রাইজ এর মালিক লিটন মিয়ার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে এবং তার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সহযোগী অংশীদার উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি মোহাম্মদ হারুন অর
রশীদ ও ব্যাবসায়ী শাহ আলম এর নিকট দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে ওই দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতী জানালে গতকাল সোমবার গোলাম মোস্তফা বাবু’র নেতৃত্বে তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি শোঠা নিয়ে উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি হারুন অর রশীদ,শাহ আলম এবং লিটন মিয়া’র সাথে অহেতুক কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে।এতে উভয় পক্ষের মধ্যে মারপিটে ৫ জন আহত হয়।এ সময় বাবু’র লোকজন শাহ আলমের ব্যবসা
প্রতিষ্ঠানের শাটারে লাঠি পেটা করে ক্ষতি সাধন করে বলে শাহ আলম অভিযোগ করেন।গুরুতর আহতদের সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকীদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় মেসার্স মালেকা এন্টারপ্রাইজ এর মালিক লিটন মিয়া বাদী হয়ে উপজেলার ঢুরিয়ার ভিটা গ্রামের মৃত আবুল হোসেন এর ছেলে গোলাম মোস্তফা (বাবু) (৩৭) কে প্রধান বিবাদী করে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরোও
৪/৫ জন অজ্ঞাত নামা বিবাদী করে সরিষাবাড়ী থানায় আজ সন্ধা সাড়ে ৬ টায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে গোলাম মোস্তফা বাবুর কাছে মোবাইল ফোন করলে তার ফোনটি
বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি জানতে চাইলে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মীর রকিবুল হক জানান,অভিযোগ পাওয়া গেছে ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।