ভরণ পোষণ না দিতে পারায় দুই মেয়ে শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার ঃ

দুই মেয়েকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলেন পেশায় পোশাক কারখানার নিরাপত্তা প্রহরী বাবা। কিন্তু চিকিৎসক না থাকায় তাদের নিয়ে লঞ্চ টার্মিনালে ঘুরতে যান তিনি। সেখানে ছোট মেয়ে লিচু খেতে চাইলে টাকা না থাকায় তা কিনে দিতে পারেননি অসহায় ওই বাবা। তার ওপর সামনে ঈদ। সংসারের খরচ ও সন্তানদের জামা-কাপড় দিতে হবে। এসব ভেবে শফিকুল হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে যান। এরপর প্রথমে ছোট মেয়েকে লঞ্চ টার্মিনালের বাথরুমে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে বড় মেয়েকে একই কায়দায় হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যান।  সন্তানদের ভরণ পোষণ ঠিকমতো দিতে না দিতে পারায় দুই মেয়ে শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন দরিদ্র ওই বাবা। আটকের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুই সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বাবা শফিকুল ইসলাম । নিহত দুজন হলো নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার চালাকচর গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে তাইবা (৪) ও তাইন (১১) ।

শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহাম্মেদ।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহাম্মেদ জানান, গতকাল শুক্রবার রাতে নরসিংদী লঞ্চ টার্মিনালের বাথরুম থেকে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে নিহতদের বাবা শফিকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শফিকুল হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
মিরাজ উদ্দিন আহাম্মেদ জানান, প্রাথমিকভাবে শফিকুল ইসলামকে মানসিক ভারসাম্যহীন মনে হয়েছে। তিনি একেকবার একেক রকম কথা বলছেন। তবে ঘটনার পর থেকেই পুলিশের কয়েকটি টিম তদন্ত শুরু করেছে।