বিয়ের ইতিহাসে সাক্ষী হবার জন্যই বরভাত খেতে এসেছেন তারা ।
আবির হোসাইন শাহিন :
ভিন্নধর্মী সেই বিয়ের একদিন পর এবার অনুষ্ঠিত হলো বরভাত। রোববার চুয়াডাঙ্গা হাজরাহাটি গ্রামে কনের বাড়িতে ভিন্নধর্মী এই বিয়ের বরভাত অনুষ্ঠিত হয়। বরভাত উপলক্ষে কনের বাড়িতে আলোক সজ্জ্বা, জমিয়ে চলেছে রান্নাবান্না, গেটে আমন্ত্রিত বরপক্ষের লোকজনের অপেক্ষা আর আপ্পায়নের কমতি ছিল না নববধুর পরিবারের সদস্যদের। বিয়ের আদি রীতিনীতি সব ভেঙ্গে অবশেষে বেশ কয়েকটি গাড়ি নিয়ে চুয়াডাঙ্গার কনে হাজরাহাটি গ্রামের কামরুজ্জামানের মেয়ে নববধু খাদিজার বাড়িতে বরভাত খেতে আসে বরপক্ষের লোকজন। বরের বাড়ি থেকে বরভাতে প্রায় ৩০ জন অতিথি আসেন কনে পক্ষের বাসায়। সন্ধ্যার পর বরপক্ষ তাদের নববধু নিয়ে ফিরে যান মেহেরপুর জেলার গাংনি উপজেলার চৌগাছা গ্রামে। কনে খাদিজা এই সময় পিতার বাড়ি থেকে শ্বশুড় বাড়িতে যাওয়ার সময় কান্নাকাটি শুরু করে।
অবশেষে বর তরিকুল ইসলাম নববধু খাদিজাকে নিয়ে মেহেরপুরে তার বাড়িতে যাত্রা করেন। উল্লেখ্য শনিবার ব্যাতিক্রমী এক বিয়ে হয় চুয়াডাঙ্গা জেলার হাজরাহাটি গ্রামের কামরুজ্জামানের মেয়ে খাদিজা আকতারের সাথে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার চৌগাছা গ্রামের কমরেড আব্দুল মাবুদের ছেলে তরিকুল ইসলামের। কনে খাদিজা নিজেই বিয়ে করতে যায় বর তরিকুল ইসলামকে।
শনিবার আলোচিত এই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয় মেহেরপুর গাংনী উপজেলার চৌগাছা গ্রামে। বরপক্ষের সদস্যরা বিয়ের গেটে কণেকে বরণ করার পরই সম্পন্ন হয় বিয়ে। বিয়ের পর গাড়িবহর নিয়ে কণের বাড়ি চুয়াডাঙ্গায় বরকে নিয়ে যাত্রা করে কনেপক্ষের সদস্যরা আলোচিত এই বিয়ে নিয়ে খুশি কণে খাদিজা ও বর তরিকুল। সংসার জীবনে তারা যেন সুখি হতে পারে সেজন্য সবার কাছ থেকে দোয়া চেয়েছেন নববধু ও বরপক্ষের পরিবারের সদস্যরা। আলোচিত এই বিয়ের বরভাত অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় জমায় চুয়াডঙ্গার হাজরাহাটি গ্রামের শত শত নারী পুরুষ।
এমন আয়োজনে বরভাত খেতে আসা অনেকেই অবাক হয়ে বলেছেন বিয়ের ইতিহাসে সাক্ষী হবার জন্যই তারা চুয়াডঙ্গায় বরভাত খেতে এসেছেন।