বিদ্যালয়ের গেটে জ্বলন্ত চুলা,শিক্ষক শিক্ষার্থী চলাচলে দূর্ভোগ
তৌকির আহাম্মেদ হাসু ,সরিষাবাড়ী(জামালপুর)প্রতিনিধি ঃ
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কথা তোয়াক্কা না করে ঠিকাদার কর্তৃক প্রধান গেট অবরুদ্ধ করে চুলা জ্বালানোর অভিযোগ উঠেছে।
জানাগেছে,উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের হরখালী মসজিদ মোড় থেকে চাপারকোনা সংযোগ সড়কে ১ কি.মি রাস্তার নির্মান কাজ চলছে। রাস্তা নির্মান কাজের জন্য হরখালী মজিবুর রহমান আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে রাস্তার উপর আড়াআড়ি একাধিক চুলা স্থাপন করেছে ঠিকাদার। যার ফলেবিদ্যালয় চলাকালীন প্রায় ৪’শতাধিক ছাত্রছাত্রী,শিক্ষকদের বিদ্যালয়ের পড়ালেখা ও যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। জলন্ত চুলার পাশ দিয়ে জীবনের ঝূকি নিয়ে দৌড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের । পথচারী ও পাশে থাকা বাড়িঘরের মানুষের চলাচল ও জীবনযাপন চরম ভোগান্তিতে ।এব্যাপারে বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শান্ত,৭ম শ্রেণীর সূচি ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আশা,১০ম শ্রেণীর উর্মি,শরিফুল জানায় দুই দিন যাবৎ স্কুলের গেটের সামনে জ্বলন্ত চুলা জ্বালিয়ে ঠিকাদারের রাস্তার কাজ করছে। এতে বিদ্যালয়ে আসতে ও যেতে আমাদের চরমভাবে কষ্ট হচ্ছে। যেকোন সময় আগুনের ফুলকি এসে আমাদের শরীরে লাগতে পারে।
এছাড়াও শ্রেণীকক্ষে ক্লাস করার সময় আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হ্েধসঢ়;চ্ছ এবং চোখে জ্বালাপোড়া করে পানি আসে । এটি দ্রুত অপসারনের জন্য প্রশাসনের প্রতি আশুদৃষ্টি কামনা করছি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল গফুর বলেন,আমাদের না জানিয়ে রাস্তার কাজের জন্য বিদ্যালয়ের গেটে চুলা জ¦ালিয়ে কাজ করছে দিপু পাঠানের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তবে এব্যাপারে আমি জানতে চাইলে ঠিকাদার দিপু পাঠান বলেন,কাজ যেহেতু শুরু করেছি তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করে সরিয়ে ফেলবো।
এব্যাপারে রাস্তার কাজে নিয়োজিত কার্য-সহকারী আব্দুল লতিফ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,রাস্তার কাজে কোথাও জায়গা না পেয়ে বিদ্যালয়ের সামনে এ চুলা জ¦ালানো হয়। কাজ শেষ হলে অপসারন করা হবে।
এব্যাপারে ঠিকাদার দিপু পাঠান এর সাথে কথা বললে তিনি দাম্ভিকতার সাথে জবাব দেন যে,চুলা স্থাপন করেছি,সরকারি কাজ তাই,শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের যাতে কোন সমস্যা না হয় তার জন্য ৪ জন লোক নিয়োগ করেছি। আর দূর্ঘটনা হতেই পারে,এটা কাউকে বলে আসেনা।