বন্যার্তদের মাঝে ত্রান ও বিশুদ্ধ খাবার পানি বিতরনের উদ্যোগ নিলেন মামুন বিশ্বাস
আবির হোসাইন শাহিন :
বন্যায় ভাসছে সারাদেশ সিরাজগঞ্জও আওতার বাইরে নয়।৩ লক্ষাধিক মানুষ পার করছে দুবিশহ জীবন। দূর্গম যমুনার চরে জলে ভাসছে অসহায় মানুষ , ঘরের ভিতর পানি, অসহায় মানুষ গুলো একটু ত্রাণের অপেক্ষায়। সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালী উপজেলার,এনায়েতপুর, বিভন্ন পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই জলে ভাসছে যমুনার চরে বাস করা মানুষের জীবন। প্রায় ১০/২০ দিন ধরে ঢলের পানি বাড়ছে। সবচেয়ে বেশি অসহায় জীবন যাপন করছেন নারী ও শিশুরা। প্লিজ সবাই সরকারের পাশাপাশি যে যা পারেন এই অসহায় মানুষ গুলোর পাশে দাঁড়ান বাড়ির উঠানে পানি, ঘরে পানি। তবু ভিটের মায়ায় পড়ে আছেন এই পরিবারের গুলো। বানের পানিতে কাটছে ভাসমান জীবন।একটু সহযোগিতার আশায় মায়ের সঙ্গে আতঙ্কিত শিশু কোলের শিশুকে নিয়ে বাড়ির উঠানে এক মা। যমুনার ঢলে ঘরের ভেতর দিয়ে স্রোত বইছে, জীবন বাঁচাতে মাচায় বসে রান্না। এই পরিস্থিতিতে নিজেরা সংগ্রাম করে জীবনযাপন করলেও গৃহপালিত পশু-পাখিগুলোকে তারা রেখেছেন বেশ আদর-যত্নে। অনেকেই তিন বেলা পেটভরে খাবার না খেলেও পশু-পাখির লালন-পালনে কোনো ঘাটতি রাখছেন না। দানাদার খাবার বা খড় বাড়িতে না থাকলেও অনেকেই প্লাবন এলাকা থেকে কলা ও বাঁশের পাতা এবং যমুনার দুর্গত চর থেকে ধইঞ্চার পাতা সংগ্রহ করে এনে গরু ছাগলকে খেতে দিচ্ছেন। আবার যারা কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে পশু পালন করেছেন তারা বেশি দাম দিয়েই বাজার থেকে খৈল, ভুসি, খড়, গুড় এবং নেপিয়ার ঘাসও কিনে গরু-ছাগলকে খাওয়াচ্ছেন। বন্যার পানি খেয়ে ডায়রিয়া বা খুরা রোগে যাতে এসব পশু আক্রান্ত না হয়, সেজন্য দূর-দূরান্ত থেকে সংগ্রহ করে আনা হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি। আসুন সবাই মিলে এই অসহায় বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াই। আমরা উদ্যোগ নিয়ছি ৩ লক্ষ টাকার ত্রাণ বানভাসি মানুষের কাছে পৌছে দেওয়ার লক্ষ হাসিল হবে ইনশাআল্লাহ।