তাড়াশে বয়স জালিয়াতি করে আয়া ও নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগের অভিযোগ
লুৎফর রহমান, তাড়াশ:
তাড়াশে বয়স জালিয়াতি করে মোটা অংকের বিনিময়ে নিরাপত্তা কর্মী ও আয়া নিয়োগ দিয়ে এমপিওভুক্তি করার অভিযোগ উঠেছে দোবিলা ইসলামপুর আলিম মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সুপারের বিরুদ্ধে। প্রতিকার চেয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয়রা ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এম.পি.ও নীতিমালা ২০১৮ অনুযায়ী অর্থ বরাদ্দ ও নিয়োগ কার্যক্রমে, অর্থ বিভাগ অনুমোদিত নীতিমালার আওতায়, নব-সৃষ্ট পদে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেবার অনুমতি পায় উপজেলার দোবিলা ইসলামপুর আলিম মাদ্রাসা।
দোবিলা ইসলামপুর আলিম মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো: জয়নাল আবেদীন ও সুপার মো: আবু বক্কার সিদ্দিক গত ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে ম্যানেজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মহা-পরিচালকের প্রতিনিধি মনোনয়ন করে নিয়ে আসেন। মোটা অংকের ঘুষের মাধ্যমে মাদ্রাসার সুপার এবং সভাপতি বয়স জালিয়াতি করে দেবীপুর গ্রামের মৃত কোবাদ হোসেনের ছেলে জহুরুল ইসলামকে নিরাপত্তা কর্মী ও একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী মমতাজ বেগমকে আয়া পদে নিয়োগ দেন।
এরপর ২০২১ সালের জানুয়ারী মাসের ১ তারিখে তাদের যোগদান শেষে এমপিওভুক্তির জন্য অনলাইন আবেদন করেন। পরে তারা দু’জনেই এমপিও ভুক্ত হয়ে বর্তমানে বেতন – ভাতা ভোগ করছেন। অথচ সরকারী বিধি মোতাবেক নিরাপত্তা কর্মী ও আয়া পদের জন্য প্রার্থীর বয়স হতে হবে ৩৫ বছর। কিন্ত বয়স জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া নিরাপত্তা কর্মী জহুরুল ইসলামের যোগদানের তারিখ ১ জানুয়ারী ২০২১ জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী ৩৭ বছর ৪ মাস ২১ দিন বয়স ছিল। আর একই সময়ে আয়া পদের মমতাজ বেগমের বয়স ছিল ৩৫ বছর ৭ মাস ২৯ দিন।
এ বিষয়ে দোবিলা ইসলামপুর আলিম মাদ্রাসার সুপার মো: আবু বক্কার সিদ্দিক জানান, নিয়োগ প্রাপ্ত আয়া ও নিরাপত্তা কর্মী বয়সে কিছু ঝামেলা আছে। বর্তমানে তারা দু’জনেই বেতন-ভাতা প্রাপ্ত হয়েছেন। তাই তাদের বয়স সংশোধন করার জন্য আবেদন করা হয়েছে।
দোবিলা ইসলামপুর আলিম মাদ্রাসার সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন, নিয়োগ পাওয়াদের বয়স কম না বেশি আমার দেখার বিষয় নয়। তারা এলাকার মানুষ চাকুরী পেয়েছেন এবং তারা বয়স সংশোধনের আবেদন করেছে। বয়স সংশোধন প্রক্রিয়া শেষ হলে আর সমস্যা থাকবে না।
এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফকির জাকির হোসেন বলেন বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।