তাড়াশে ঝুঁকিপুর্ন ভাবে সিএনজিতে ব্যবহার হচ্ছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার
লুৎফর রহমান , তাড়াশ সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলছে সিএনজি চালিত তিন চাকার অটোরিকশা। অবাধে ব্যবহৃত হচ্ছে বাসা-বাড়িতে রান্না করার এলপি গ্যাস।
এতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ। ক্রমাগত গ্যাস সংকট আর সিএনজি ফিলিং স্টেশনের লম্বা লাইন এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ এ পথ বেছে নিয়েছেন অনেক চালক।এতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ।
বিস্ফোরক পরিদপ্তর সূত্র জানায়, সরকারি বিধি মোতাবেক ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপণ সক্ষমতা-সংক্রান্তলাইলেন্সসহ অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার এবং মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকতে হবে।
সরেজমিনে বিভিন্ন সিএনজি অটোরিকশার স্ট্যান্ড ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়। এসব সিলিন্ডার চালকের সিটের নিচে এবং যাত্রী সিটের পেছনে ক্যারিয়ারে উন্মুক্তভাবে রাখা হয়েছে। এ জাতীয় পরিবহনে সিএনজি সিলিন্ডার ব্যবহারের অনুমতি থাকলেও এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের অনুমতি নেই। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এভাবে ঝুঁকি নিয়েই চলছে বেআইনি পরিবহন। রান্নার কাজে ব্যবহৃত এলপিজিতে থাকে মূলত প্রোপেন বা বুটেন। সহজে বাতাসে মিশতে চায় না এই গ্যাস। তার ওপর সামান্য বাতাসের সংস্পর্শে জ্বলতে সক্ষম এই গ্যাস। অনেক সময় উঁচু-নিচু রাস্তায় ঝাঁকির কারণে সিলেন্ডারের মুখে ব্যবহৃত রেগুলেটর মিসিং হতে পারে। সিলিন্ডারের মুখের রেগুলেটর মিসিং হলে গ্যাস লিকেজ হলে সে ক্ষেত্রে অগ্নিকান্ডের আশঙ্কা থাকে।
অটোরিকশার সিলিন্ডার প্রকারভেদে ১২থেকে ১৫ হাজার টাকায় কিনতে হয়। এতে গ্যাস রি-ফিলিং করলে এক-চতুর্থাংশ বাতাস থাকলেও সিলিন্ডারটি নিরাপদ থাকে। এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ৭৫০ টাকায়ই কেনা যায়, তাতে বাতাসের পরিমাণ থাকে না। কিন্তু সিলিন্ডার কোনোক্রমেই নিরাপদ নয়। এলপি গ্যাস সহজলভ্যতার কারণেই এর ব্যবহার দিনদিন বেড়েই চলছে আর যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকিও বাড়ছে।
উপজেলা শহর হতে জেলা শহরের গ্যাস পাম্মের দুরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার এসব স্ট্যান্ড থেকে দৈনিক প্রায় ৪০০ অটোরিকশা বিভিন্ন সড়কে যাত্রী পরিবহন করে।তাড়াশ থেকে মহাসড়ক হয়ে সেই পাম্প স্টেশনে গিয়ে সিএনজির সিলিন্ডারে গ্যাস ভরতে হয়। সিএনজিচালকরা বলছেন, গ্যাসের সিলিন্ডার ভরতে বগুড়ায় ও সিরাজগঞ্জে যাতায়াত করতে মহাসড়ক দিয়ে। সেখানে পুলিশের হয়রানির পাশাপাশি নামে-বেনামে বিভিন্ন সংগঠনকে চাঁদা দিতে হয়।
বাধ্য হয়ে তারা বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত এলপি গ্যাস দিয়েই গাড়ি চালাচ্ছেন। রাজশাহী বিভাগীয় বিস্ফোরক পরিদর্শক ড.আসাদুল ইসলাম বলেন, যাঁদের নামে অনুমোদন আছে তাঁরাই শুধু এলপি গ্যাস সিলিন্ডার, পেট্রলসহ দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করতে পারবেন। অনুমোদন ছাড়া যাঁরা অবৈধ ভাবে যারা এ সব ব্যবহার করবে তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে। স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল করিম বলেন আপনার কাছেই প্রথম জানলাম। বিষয়টি মোবাইল কোর্টের আওতাভুক্ত আছে কি না খতিয়ে দেখে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।