তাড়াশে জমে উঠেছে খিরার হাট
লুৎফর রহমান, তাড়াশ সিরাজগঞ্জ :
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জমে উঠেছে খিরার হাট। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর খিরার ফলন ভালো
হয়েছে। খিরার ভাল ফলন ও চাহিদা বেশি হওয়ায় কৃষকরা পাইকারি বাজারে বিক্রি করে বেশী
লাভবান হচ্ছেন । ভাল দাম পেয়ে তারা বেজায় খুশি । ভালো ফলন হলে ও কম জমিতে আবাদ
হয়েছে খিরা।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে এ বছর তাড়াশ উপজেলার ৩৫২ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ করা
হয়েছে। এর মধ্যে খিরার সবচেয়ে বেশি চাষ করা হয়েছে বারুহাস ইউনিয়নে। বাজারে
দেশীয় উফশী ও হাইব্রিড দুই জাতের খিরা চাষ হয়ে থাকে। বীজ বপনের ১০-১৫ দিনের মাথায়
চারা গজায়। এক মাসের মাথায় গাছে ফুল ও ফলের প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দেয়। দেড় মাস পূর্ণ
হওয়ার পর গাছ থেকে খিরা সংগ্রহ করা হয়।খিরা একটি উপাদেয় সবজি। গুল্মজাতীয় সবজির
মধ্যে শসার মতো খিরাই একমাত্র কাঁচা খাওয়ার উপযোগী। খিরা সালাদের উপকরণ হিসেবেও
ব্যবহৃত হয়। গরমে পানির তৃৃষ্ণা মেটানোর পাশাপাশি শরীরের চর্বি কমাতেও সহায়ক খিরা।
সরেজমিনে শুক্রবার সকালে উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের দিঘুরিয়া গ্রামে খিরার আড়তে
গিয়ে দেখা যায়,জমে উঠেছে খিরা বেচা কেনা দুর- দুরান্ত হতে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত
খিরা হাটে বিক্রি করার জন্য নিয়ে এসেছে।এখানে প্রতি বস্তা খিরা ৬০০ থেকে ৭০০
টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পার্শ্ববতী নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলা কৃষকরা এই হাটে খিরা
বিক্রি করতে নিয়ে আসে।সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত হাটে বিক্রি হয়ে থাকে।
বারুহাস ইউনিয়নের সান্দুরিয়া গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ফলন ভাল হয়েছে
দাম ও অনেক বেশী। আমি ৩ বিঘা জমিতে খিরা আবাদ করেছি। এতে আমার খরচ হয়েছে
প্রায় ৭০ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত খিরা বিক্রি করেছি ১লক্ষ ৫০হাজার টাকায় আশা করছি
আরো ৫০ হাজার টাকার খিরা বিক্রি করব।
তালম গ্রামের খিরা ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর হাটে প্রচুর
খিরা উঠেছে দাম অনেক বেশী হাট-বাজারে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে এবং আড়তে
প্রতি বস্তা সাড়ে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। এসব খিরা রাজধানী সহ
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা প্রতিদিনই কিনে নিয়ে যাচ্ছে ট্রাকে করে।
উপজেলা কৃষি অফিসার লুৎফুনন্নাহার লুনা বলেন,অল্প সময়ে স্বল্প বিনিয়োগে অধিক লাভ
করা যায়। তাই খিরা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেশি। তাদের মতে এ বছর যে পরিমাণ জমিতে
খিরার আবাদ করা হয়েছে গত বছর সে তুলনায় ছিল অর্ধেক। আবাদ ও উৎপাদন দুটোই বেশি
হয়েছে। চাহিদা বেশি হওয়ায় খিরার ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন কৃষকরা।