জামালপুরের মেলান্দহে পাকা রাস্তার দু’পাশের গাছ কাঁটা হচ্ছে দেখার কেউ নেই
তৌকির আহাম্মেদ হাসু, সরিষাবাড়ী (জামালপুর)প্রতিনিধি ঃ
জামালপুরের মেলান্দহের ঘোষেরপাড়া পাকা রাস্তার দু’পাশের গাছ কাঁটা হচ্ছে দেখার কেউ নেই । দিনের দুপুরে এসব কর্মকান্ড করলেও প্রতিবাদ করে না কেউ। বর্তমানে ঐ এলাকার সরকারী গাছ কাটা নেশায় পরিনত হয়েছে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে -জামালপুরে মেলান্দহ উপজেলার ঘোষের পাড়া ইউনিয়নের বেলতৈল বাজার হতে বাংলাবাজার হয়ে শ্যমগঞ্জ কালীবাড়ি পাকা রোড়ের ফজিলা নছিম উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশেই সরকারী পাকা রাস্তার পাশ থেকে ৫০ থেকে ৬০ টি ইউক্যালেক্টার ও মেহেগুনী গাছ কাটা হচ্ছে, যার আনুমানিক মূল্য ৭০-৮০ হাজার টাকা। স্থানীয় প্রভাবশালী মৃত- মুনতাজ সরকারের ছেলে সোনামিয়া এসব গাছ বিক্রি করছে স্থানীয় গাছ ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নানের ছেলে নবী হোসেনের কাছে । সরকারী কোন অনুমতি ছাড়া নির্বীকারে কাটা হচ্ছে স্থানীয় সরকারের পাকা রাস্তার দু’পাশের গাছ। স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বাররা জানলেও সরকারের উর্দ্ধত্বন কোন কর্মকর্তাকে জানানোর প্রয়োজন মনে করেন না তারা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার পাশে রাস্তায় দিনের দুপুরে এভাবেই গাছ কেটে নিচ্ছে স্থানীয় সোনামিয়া ।
গাছ বিক্রেতা সোনামিয়া কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন , ওবায়দুর চেয়ারম্যান আমার জ্যাঠা হয়। আমি আমার গাছ কাটতাছি কারও অনুমতি লাগবে কেন? গাছ বিক্রির বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য লুৎফর রহমান ভোলা বলেন, এসব গাছ কাটতে সরকারের কোন অনুমতি লাগে না। এ জায়গায় সবাই রাস্তার গাছ কাটে। আর সোনামিয়ারে গাছ কাটার পারমিশন আমি দিছি।
ঘোষের পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমানকে মুঠোফোনে গাছ কাটা বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। তবে তিনি কোন ব্যবস্থাও গ্রহন করেন নাই।
ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা(নায়েব) রাসেলকে ফোনে বিষয়টি অবগত করলে তিনি বিষয়টি এডিয়ে গিয়ে বলেন আমি মেলান্দহে মিটিং এ আছি। মেলান্দহ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মাহমুদা বেগম বলেন, সরকারী গাছ অনুমতি ছাড়া কেমনে কাটে? আমি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি এখনি বলছি।