কোনো প্রকার সনদ ছাড়াই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, চলছে তেলেসমাতি চিকিৎসাও!!
শুভ কুমার ঘোষ, সিরাজগঞ্জঃ
মোঃ কেরামত আলী, কোনো প্রকার সনদ ছাড়াই বণে গেছেন বিশেষজ্ঞ হোমিও ডাক্তার, ৭থেকে ৮বছর ধরে ভূয়া ডাক্তার হয়েই নিয়মিত রোগী দেখছেন, করছেন হাকিমী ও। করে থাকেন সকল ধরনের জটিল, কঠিন ও গোপন রোগের চিকিৎসা। কোনো প্রকার ডাক্তারি সনদ ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও শিক্ষাগত সনদ না থাকলেও নামের পূর্বে লিখছেন ডাক্তার শব্দটি। রোগীদের নানান রকমের পরামর্শের পাশাপাশি নিজের দোকান থেকেই দিচ্ছেন ওষুধ।
সিরাজগঞ্জ সদরের হরিনা পিপুলবাড়ীয়া বাজারের দত্তবাড়ী রোডে অবস্থিত শাহ্ ওলিউল্লাহ হোমিও ফার্মেসী। সেখানেই সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এই চিত্র। প্রতিবেদকের চোখের সামনেই তিনি রোগী দেখে চিকিৎসা ও ওষুধ দিচ্ছিলেন আগত রোগীদের। আর তার একাজে সহায়তা করছিলেন তার মেয়ে জামাতা মুরগী ব্যাবসায়ী নজরুল। যেকোনো চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো ধরনের সনদ আছে কিনা জানতে চাইলে মোঃ কেরামত আলী জানান, তার বাবা এই পেশায় ছিলেন তাই তিনিও এই পেশায়। কিন্তু চিকিৎসা বা ডাক্তারি সংক্রান্ত কোনো সনদ তার নেই। কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি শুধু বলেন আমি ছোনগাছা মাদ্রাসায় পরাশোনা করেছি।
কতদূর বা কোন শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন জানতে চাইলেও এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি ডাক্তার রূপী প্রতারক কেরামত আলী। কোনোরকম চিকিৎসা বিদ্যা ছাড়াই এভাবে চিকিৎসা দিচ্ছেন এর কারনে যেকোনো সময় কোনো রোগীর দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বা অপ-চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে বললে কেরামত আলী বলেন, আমি কখনই কোনো ভুল করতেই পারিনা। অতীতেও করিনি আর ভবিষ্যতেও করবোনা। তার কোনো শিক্ষা ছাড়াই এতোটা আত্মবিশ্বাসের কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কখনোই কোনো ভুল করতে পারিনা এটাই।
তার মেয়ে জামাতা একজন মুরগী ব্যবসায়ীর পরিচয় দিলেও তিনিই ভূয়া ডাক্তারের চেম্বারে বসে তার পরামর্শে রোগীদের বানিয়ে দিচ্ছেন ওষুধ। তবে সচেতন নাগরিক ও এলাকাবাসীদের দাবী কোনোপ্রকার যোগ্যতা ও চিকিৎসার অনুমতি না থাকলেও এভাবে অপ-চিকিৎসা চলতে থাকলে যেকোনো মূহুর্তেই ঘটে যেতে পারে বড় কোনো দূর্ঘটনা, রোগীর হতে পারে মৃত্যুও।