ইউপি সদস্য শফিকুলের সেচ্ছাচারীতার স্বীকার অসহায় প্রতিবন্ধী রেবেকা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কাজিপুরের সোনমুখী ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের (১৯)বছর বয়সী রেবেকা খাতুন জন্মগতভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী। কারো সহযোগিতা ছাড়া চলাচলে সম্পন্ন অক্ষম। পিতা হাফিজুর রহমান দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালায়। রেবেকার প্রতিবন্ধী ভাতা ছিল পরিবারের বাড়তি আয়ের একমাত্র উৎস। কিন্তু সম্প্রতি রেবেকার প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডটি রহস্যজনকভাবে বাতিল হওয়ায় অসহায় হয়ে পড়েছে পরিবারটি।
প্রতিবন্ধী রেবেকার মা রাজিয়া খাতুন জানান, প্রতিবন্ধী হিসেবে আমার মেয়ের নামে ভাতার কার্ড ছিল, নিয়মিত ভাতা পেতেন, সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট ইউপি মেম্বার শফিকের অনৈতিক চাহিদা অনুযায়ী টাকা না দেয়ায় ভাতা সুবিধা বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, উপজেলা সমাজসেবা অফিসে যোগাযোগ করা হলে সমস্যা আছে বলে কার্ডটি রেখে দেয়। পরবর্তীতে যোগাযোগ করা হলে কার্ড হারিয়ে গেছে বলে জানিয়ে দেয়।
সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম অনৈতিক টাকা দাবীর বিষয়টি অস্বীকার করে এসব উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের দায় বলে জানান।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আলাউদ্দিন জানান, কেন এমন হয়েছে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, সোনামুখী ইউনিয়নের ৪৭২ জন প্রতিবন্ধীর তালিকা প্রস্তুত করা হলেও তাতে বেশকিছু অভিযোগ আছে, পুনরায় যাচাই-বাছাই করার প্রক্রিয়া চলছে, শেষ না হওয়া পর্যন্ত পে-রোল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।