অসময়ে যমুনার তীব্র ভাঙ্গনে ১০ গ্রাম বিলীনের উপক্রম
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
যমুনা নদীর তীব্র ভাঙ্গনে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরি, খুকনী ও জালালপুর ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। ভাঙ্গনে ইতিমধ্যেই বহু জায়গা জমি, ঘরবাড়ি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। অসময়ে ও শুষ্ক মৌসূমে এ ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় এলাকাবাসী দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙ্গন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে প্রকাশ, ভাঙ্গনে প্রায় ১ সপ্তাহে শতাধিক বাড়িঘর, ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ১টি চিকিৎসা কেন্দ্র, ২টি মসজিদ, ১টি ঈদগাহ মাঠ, ৫০টি তাঁত কারখানা, ৩ কিলোমিটার কাচা সড়ক, বহু আবাদী জমিসহ ২ শতাধিক গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এসব গ্রাম গুলি হল, ব্রাহ্মণগ্রাম,আরকান্দি, পাকুরতলা, কুঠিরপাড়া, বাঐখোলা, ঘাটাবাড়ি, ভেকা, জালালপুর, চিলাপাড়া ও পাচিল। এ বিষয়ে ওই ৩ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, মুল্লুক চাঁদ মিয়া ও হাজী সুলতান মাহমুদ জানান, গেল বন্যায় এ এলাকার ৪ শতাধিক বাড়িঘর যমুনা নদীর ভাঙ্গণে বিলীন হয়েছে। এতে বহু মানুষ এখন গৃহহীন হয়ে পড়েছে। আবারও এ ভাঙ্গণ শুরু হওয়ায় তারা অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। বাঁধ নির্মাণের দাবীতে মিছিল মিটিং ও মানববন্ধন করেও কোন কাজ হয়নি। যমুনা নদীতে এই অসময়ে ভাঙ্গণ নিজ চোখে না
দেখলে বিশ^াস হবে না যে, এখানে এতো পরিমাণ ভাঙ্গণ চলছে। স্থায়ী তীর সংরক্ষরণ বাঁধ নির্মাণ কাজ কবে শুরু হবে। এ অপেক্ষায় থাকলে উল্লেখিত গ্রামগুলো সম্পূর্নরূপে অস্তিত্ব হারাবে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এ ভাঙ্গণ রোধে দ্রুত পদক্ষেপের জোর দাবী জানান।
এদিকে রোববার বিকেলে পাউবো’র রাজশাহীর প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী এ ভাঙ্গণ এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বগুড়া) তারিক আব্দুল্লাহ, সিরাজগঞ্জ পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, প্রায় ৯শ কোটি টাকা ব্যয়ে দাখিল করা হয়েছে। এ প্রকল্প অনুমোদন পাওয়া গেলে এ ভাঙ্গন রোধের কাজ শুরু হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।