সিরাজগঞ্জে ২টি বাল্যবিবাহ বন্ধ ,কনের মা ও বরের চাচার অর্থদণ্ড ।

আজিজুর রহমান মুন্না, সিরাজগঞ্জ ঃ

সিরাজগঞ্জ সদরে একই দিনে দুটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছেন সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আনিসুর রহমান। শুক্রবার সকালে প্রথমে সিরাজগঞ্জ সদরের পৌর এলাকার হোসেনপুরে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী মোছাঃ রুকসানা খাতুন (১৪) এবং রাত ৯ টায় সয়দাবাদ ইউনিয়নের সয়দাবাদ গ্রামে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী মোছাঃ সুবর্ণ খাতুন (১৪) এর বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়। আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জ সদরের পৌর এলাকার হোসেনপুরে সংগীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে কনের বাড়ীতে উপস্থিত হন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তখন কনের বাড়ীতে কনে হোসেনপুর এলাকার রবিউল ইসলামের মেয়ে রুকসানা খাতুন (১৪) এর সাথে বর পৌর এলাকার চক কোবদাসপাড়া গ্রামের হুমায়ুন ইসলাম এর পুত্র মোঃ আবির হোসেন (২১) এর বিয়ের আয়োজন চলছিল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কাজী ও বরপক্ষ পালিয়ে যায়। কনে জাহানার উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। কনে অপ্রাপ্তবয়স্ক।

এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কনের মা কহিনুর বেগমকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে কনের মায়ের কাছ থেকে মেয়ের ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দিবেন না বলে মুচলেকা নেয়া হয়। এরপর রাত ৯ টার সময় সিরাজগঞ্জ সদরের সয়দাবাদ ইউনিয়নের সয়দাবাদ এলাকায় অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীর বাল্যবিবাহ বন্ধে সংগীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে কনের বাড়ীতে উপস্থিত হন ভ্রাম্যমাণ আদালত । তখন কনের বাড়ীতে কনে সয়দাবাদ এলাকার সুজাব আলীর মেয়ে সুবর্ণ খাতুন (১৪) এর সাথে বর একই উপজেলার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের খোকশাবাড়ী গ্রামের নূর ইসলাম এর পুত্র রাজু শেখ (১৯) এর বিয়ের আয়োজন চলছিল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কাজী কৌশলে পালিয়ে যায় । কনে সয়দাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। বর ও কনে অপ্রাপ্তবয়স্ক। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বরের চাচা সবুজকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে বর ও কনের বাবার কাছ থেকে বর ও কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দিবেন না বলে মুচলেকা নেয়া হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সয়দাবাদ ইউ.পি চেয়ারম্যান নবীদুল ইসলাম, পৌর ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম, সদর থানা পুলিশের এসআই মানিক, এএসআই মোখলেছ ও থানা সদর পুলিশের সদস্যবৃন্দ।