মাঠে নেই বিএনপি, আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এমপি মন্ত্রী মেয়র উপজেলা চেয়ারম্যান

ইমরান হোসেন আপন, স্টাফ রিপোর্টার :

আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংস নির্বাচন।  নির্বাচন সামনে রেখে সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে প্রার্থীদের প্রচারণায় জমে উঠেছে রাজনৈতিক মাঠ। নদী ভাঙন কবলিত উপজেলা চৌহালী ও তাঁত শিল্প সমৃদ্ধ উপজেলা বেলকুচি নিয়ে সিরাজগঞ্জ-৫ আসন গঠিত। স্বাধীনতার পরে এ আসনে বিএনপি চার বার জাতীয় পার্টি দুই বার আওয়ামী লীগ পাঁচ বার বিজয় লাভ করে। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩,৯৯,১৮৯ জন। পুরুষ ভোটার ২,০৪,৯৪৪ জন। নারী ভোটার ১,৯৪,২৪৫ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ১২৩ টি। আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চৌহালী বেলকুচি  আসনে নৌকার টিকেট পেতে সভা, সমাবেশ, লিফলেট বিতরণ, জনসংযোগ, উঠান বৈঠক, সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন বর্তমান এমপি, সাবেক মন্ত্রী, পৌর মেয়ের ও উপজেলা চেয়ারম্যান। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন, বর্তমান এমপি আলহাজ্ব আব্দুল মমিন মন্ডল, সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, গ্রেনেড হামলায় আহত  ঢাকার বনানী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর মোশারফ হোসেন, বেলকুচি পৌর মেয়র মোঃ সাজ্জাদুল রেজা, চৌহালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুক হোসেন সরকার।
এদিগে বিএনপি মাঠে না থাকলেও দলীয় মনোনয়ন  প্রত্যাশী রয়েছেন চার জন। তারা হলেন, সাবেক পানি উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী মেজর (অব.) মনজুর কাদের, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম, জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির উপদেষ্টা গোলাম মওলা খান বাবলু, চৌহালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আব্দুল্লাহ আল মামুন। এছাড়াও চৌহালী উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম খান ও জামাতের এক জন পার্থী রয়েছেন।  বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলেন, দীর্ঘদিন মাঠে নেই, নেতা কর্মীর সাথে যোগাযোগ নেই। মনোনয়ন পেয়েও ভোটারদের কাছে যেতে পারে না জনবিচ্ছিন্ন এমন নেতাদের মনোনয়ন না দিয়ে বিভেদ নিরসন করে জনবান্ধব ও কর্মীবান্ধব ত্যাগী পরীক্ষিত কাউকে মনোনয়ন দিলেই হারানো আসনটি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। আর ভোটাররা জানান গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। তবে সে তুলোনায় চৌহালীতে উন্নয়ন কম হয়ছে। ভোটাররা আরও জানান চৌহালীর বড় সমস্যা নদী ভাঙন। নদী ভাঙন প্রতিরোধ  করে নদী বন্দর ও চরের জমি ভূমি উন্নয়ন করে শিল্প কারখানা তৈরি করলে এ অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
চৌহালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ তাজ উদ্দিন বলেন, চৌহালী উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন সুসংগঠিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন করেছে তার সুফল গ্রামের সকল শ্রেণির মানুষ পাচ্ছে। বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল মমিন মন্ডল সৎ নিষ্ঠাবান দায়িত্বশীল। তিনি সব সময় সকল দুর্যোগে সাধারণ মানুষের পাশে থাকেন, জনগণ তার প্রতি সন্তুষ্ট। তাই আমরা মনে করি জনগণ আবারো নৌকায় ভোট দিবে। উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ জাহিদ মোল্লা বলেন, আমরা এক দফা দাবি আদায়ের জন্য কাজ করছি। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয়ভাবে যখন যে সিদ্ধান্ত আসবে সেই অনুযায়ী কাজ করবো।