সিরাজগঞ্জে ২ছাত্রীকে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা করলেন এসিল্যান্ড, কনের বাবার অর্থদণ্ড।

আজিজুর রহমান মুন্না,সিরাজগঞ্জ ঃ

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায়  একই রাতে দুই স্কুল ছাত্রীকে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা করেছেন সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আনিসুর রহমান।  বৃহস্পতিবার রাতে  সিরাজগঞ্জ সদরের পৌর এলাকার শাহেদনগর ব্যাপারীপাড়ায় নবম শ্রেণীর ছাত্রী মোছাঃ স্মরণিকা খাতুন (১৪) এবং রতনকান্দি ইউনিয়নের ভেওয়ামাড়া গ্রামে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী মোছাঃ খাদিজা খাতুন  (১৩) এর বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়। আদালত সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জ সদরের পৌর এলাকার শাহেদনগর ব্যাপারীপাড়ায় সংগীয় ফোর্স নিয়ে কনের বাড়ীতে উপস্থিত হন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তখন কনের বাড়ীতে কনে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার শাহেদনগর ব্যাপারীপাড়ার কোরবান আলীর মেয়ে স্মরণিকা খাতুন (১৪) এর সাথে বর একই উপজেলার বনবাড়ীয়া  গ্রামের চাঁদ আলীর এর পুত্র রুহুল আমিন (২১) এর বিয়ের আয়োজন চলছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে কাজী পালিয়ে যায়। কনে স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। কনে অপ্রাপ্তবয়স্ক। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দিয়ে কনের বাবার কাছ থেকে কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবে না বলে মুচলেকা নেন।এরপর রতনকান্দি  ইউনিয়নের ভেওয়ামাড়া গ্রামে বাল্যবিবাহ বন্ধে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। তখন কনের বাড়ীতে কনে ভেওয়ামাড়া গ্রামের কালু গাজী মন্ডল এর কন্যা খাদিজা খাতুন (১৩) এর সাথে বর একই উপজেলার গজারিয়া গ্রামের মোঃ মোতাহার এর পুত্র মোঃ সবুজ মিয়া(২৫) এর বিয়ের আয়োজন চলছিল। কনে স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত বাল্যবিবাহ বন্ধ করে কনের বাবা কালু গাজী মন্ডলকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন । পরে কনের বাবার কাছ থেকে কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দিবেন না বলে মুচলেকা নেয়া হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন,  পৌর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম ও পুলিশ সদস্যবৃন্দ।