যমুনা সারকারখানা কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায় চরম দুর্ভোগের শিকার লাখো মানুষ
তৌকির আহাম্মেদ হাসু ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
জামালপুরের সরিষাবাড়ী’র তারাকান্দিতে অবস্থিত যমুনা সারকারখানা কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা,অদক্ষতা,অবহেলায় চরম দুর্ভোগ নিয়ে সারকারখানা এলাকায় বসবাস ও ভ্রাম্যমান চলাচলরত লাখো মানুষ।ফুসে উঠছে যমুনা সার কারখানার নির্গত এ্যামোনিয়া ও তরল বজের্যর দুষন কবল থেকে রক্ষায় প্রতিরোধমুলক ব্যাবস্থা গ্রহনের ও ক্ষতিপুরনের দাবী বাস্তবায়নে গনদাবী তুলেছেন সারকারখানা চর্তুপাশের্বর তারাকান্দি,চরপাড়া,কান্দারপাড়া,পলিশা,বৈশের চর,চরপাড়া গ্রামবাসী। আজ শুক্রবার বিকেলে যমুনা সারকারখানা এলাকায় সরেজমিনে এসব দৃশ্য লক্ষ্য করা গেছে।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা গেছে,জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার দিগপাইত-সরিষাবাড়ী টু তারাকান্দি-ভুয়াপুর ব্যাস্ততম গুরুত্বপুর্ন সড়কের যমুনা সার কারখানার পূর্ব পাশের্ব বাউন্ডারী ওয়ালের পাশের্ব কারখানার ড্রেনের পাশে সদ্য নির্মিত কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে পাকা রাস্তা নির্মিত হয়েছে। ওই সড়কটির পাশের্ব যমুনা সারকারখানা থেকে নির্গত দুষিত ক্যামিক্যাল মিশ্রিত পানি চুয়ে চুয়ে ড্রেনে এসে সঞ্চিত হচ্ছে।ওই সঞ্চিত দুষিত ক্যামিক্যাল যুক্ত পানি কোথাও কোন নালা দিয়ে নিষ্কাশিত না হওয়ায় ড্রেনের পানি উপড়ে পড়ে সডক ও জনপথের অর্থায়নে নির্মিত সড়কের উপর দিয়ে অর্নগল প্রবাহিত হচ্ছে।ফলে সড়কটির উপর দিয়ে সব সময় ড্রেনের দূষিত পানি গড়িয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন যানবাহনে জনসাধারণ ও সার পরিবহনের যানবাহন চলাচলের ফলে রাস্তাটির স্থায়িত্ব কমে গর্তের সৃষ্টি হয়ে ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।
অপরদিকে অটোভ্যান, ভ্যান গাড়ী,সিএনজিতে চলাচলরত জনসাধরনের শরীরে এবং পোশাকে দুষিত পানি ছিটকে কাপড়-চোপড় নষ্ট সহ রোগাক্রান্ত হওয়ার আশংকা নিয়ে লাখো মানুষ দুভোর্গ নিয়ে বসবাস ও ভ্রাম্যমান চলাচল করছেন।তাই স্থানীয় ও চলাচলরত জনসাধরন যমুনা সারকারখানার কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা অবহেলার এবং অদক্ষতায় রাস্তার পাশের্বর ড্রেন থেকে পয়-পরিস্কার ও নিষ্কাশনে প্রতিরোধমুলক ব্যাবস্থা না করায় এ চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে জেএফসিএল কতৃক্ক্ষকে দায়ী করে এ মত প্রকাশ করছেন।
এ ছাড়াও সড়কটির উপর দিয়ে সারকারখানার ক্যামিক্যাল মিশ্রিত পানি প্রবাহ বন্ধ না করলে সড়কটি ক্ষতি সাধিত হয়ে বর্তমান সরকারের উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের মধ্যে সদ্য নির্মিত এ সড়কটি। স্থানীয় জনসাধারন ও সচেতন মহল যমুনা সারকারখানা কর্তৃপক্ষের নিকট দ্রুত সময়ের মধ্যে বিষাক্ত গ্যাস ও পানি অপসারন সহ স্থায়ী অপসারনে ব্যাবস্থা গ্রহন, স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থদের পুকুরের মাছ ও ফলদ বৃক্ষের এবং ফসলের ক্ষতিপূরণের দাবী জানান স্থনীয় বীরমুক্তিযোদ্ধা সাদেক আলী।
এ ছাড়াও পোগলদিঘা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের চরপাড়া গ্রামের ছাদেক আলীর বাড়ীর উত্তর পশ্চিম কোনে নির্মিত কালভার্ট দিয়ে প্রায় ১২০ একর জমির পানি গত ২৫ বছর যাবৎ র্নিগত হয়ে আসলেও সম্প্রতি অজ্ঞাত কারনে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে পোগলদিঘা বালিকা বিদ্যালয় সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় যমুনা সারকারখানার দুষিত পানির জলাবদ্ধতায় শতাধিক পরিবার সহ গবাদী পশু নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন থেকে উত্তোরনে কালভার্টের মুখ খুলে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের আশুদৃষ্টি কামনা করেছেন। এব্যাপারে যমুনা সারকারখানার ব্যাবস্থাপনা পরিচালক সুদীপ মজুদার এর নিকট কয়েক দফায় মোবাইলে ফোন করলে তার ফোনটি ব্যাস্থ পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
