সরিষাবাড়ীতে সরস্বতী পূজা ভাংচুর ও হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
তৌকির আহাম্মেদ হাসু, সরিষাবাড়ী(জামালপুর) প্রতিনিধিঃ
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার হাটবাড়ী জেলে পাড়া গ্রামে সরস্বতী পূজা ভাংচুর ও সরিষাবাড়ী পৌর সভার ইস্পাহানী সরস্বতী পুজা চলাকালে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ হামলার তাৎক্ষনিক প্রতিবাদে বিক্ষোভ করা হয়েছে।
অপরটি সরস্বতি পুজা ভাংচুর ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের হাটবাড়ী জেলে পাড়া গ্রামে ও সরিষাবাড়ী পৌর সভার ইস্পাহানী সরস্বতী পুজা চলাকালে এ ঘটনা ঘটেছে।পুজা ভাংচুর করার ঘটনায় হাটবাড়ী সার্বজনীন দুর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি মঙ্গল চন্দ্র বর্মন বাদী হয়ে একই মন্দিরের অধীন ভক্ত কোমল চন্দ্র বর্মন কে প্রধান বিবাদী করে ৬ জনের বিরুদ্ধে সরিষাবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানায় অভিযোগ দেয়ায় কোমল চন্দ্র বর্মন নেতৃত্বে তার লোকজন নিয়ে রাতেই সরস্বতি পুজা ভাংচুর করে ও বুধবার সকালে লিমন চন্দ্র বর্মন এর বাড়ী ঘরে ভাংচুর করার চেষ্টা করে।এ নিয়ে এলাকায় উভয় পক্ষদ্বয়ের মাঝে উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।এ ঘটনায় কোমল চন্দ্র বর্মন এর লোকজন গা ডাকা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে হাটবাড়ী সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের সভাপতি মঙ্গল চন্দ্র বর্মন সাধারণ সম্পাদক বিজয় চন্দ্র বর্মন জানান, আমাদের মন্দিরে বিদ্যাদেবী সরস্বতী পুজা পালন করতে মন্দিরে পুজামুর্তি আনি। সেখানে কোমল চন্দ্র বর্মন ও তার লোতজন পূজা পালনে করতে বাধা প্রদান করে এবং নানা হুমকি দেয়।
এ ছাড়াও তারা ঝিনাই নদীর পাড়ে একটি বিদ্যা দেবী সরস্বতী পুজা করতে একটি মুর্তি স্থাপন করে। আমাদের হুমকি দেয়ায় আমরা বিচারের জন্য সরিষাবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। থানা থেকে বাড়ী ফিরে এসে দেখি আমাদের মুর্তি কোমল চন্দ্র বর্মন ভেঙ্গে ফেলেছে।আমরা এর বিচার চাই।এ বিষয়ে কোমল চন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তারা পলাতক থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ দিকে সরিষাবাড়ী থানার পাশের্ব ইস্পাহানি আবাসিক এলাকায় (১৬ফেব্রুয়ারী)একই রাতে মঙ্গলবার বিদ্যাময়ী সরস্বতী পূজা চলাকালে মন্ডপে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে পূজা মন্ডপ কমিটির সভাপতি সহ ২০ জন মারপিটের শিকার হয়েছেন। হামলার ঘটনায় মন্ডপের মঞ্চ তছনছ করা হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সনাতনধর্মালম্বীরা বিক্ষোাভ মিছিল নিয়ে বাস¯ট্যান্ড হয়ে থানা রোড প্রদক্ষিণ করে। এ সময় স্থানীয় গন্যমান্যরা বিচারের আশ্বাস দিলে তারা বিক্ষোভ তুলে নেন।ইস্পাহানি আবাসিক সরস্বতী পূজা কমিটির সভাপতি সুকুমার ঘোষ অভিযোগ করে বলেন,সরস্বতী পূজা চলাকালে রাত ১০টার দিকে পূজা মন্ডপে ভক্তরা পূজা-অর্চণা করা অবস্থায় শিমলা বাজার বাস¯ট্যান্ড এলাকা থেকে আগত ফারুক ও নান্টু ড্রাইভার এর নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের নেশাগ্রস্থরা এসে লাঠি-সোঠা নিয়ে মন্ডপে অতর্কিত হামলা চালায়।এতে প্রতিবাদ করলে আমাকেও মারধর করে নেশাগ্রস্থরা।এ ছাড়াও অর্তকিত হামলা পুজায় আগত ভক্তরা দৌড়া দৌড়ীতে এবং মারপিটে শুভ চন্দ্র গৌড়, বিজয় চন্দ্র গৌড়, কৃষ্ণ বর্মন, লাভলী চন্দ্র গৌড়, মায়া রানী গৌড়, অঞ্জনা চৌহান, গীতা, শান্তি, রঞ্জন, রঞ্জু, জানতে চাইলে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ আবু মোঃ ফজলুল করীম জানান,মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে মুর্তি ভাংচুর করার একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।