নিজ কর্মস্থল ফাকি দিয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস নিয়ন্ত্রন নিয়ে ব্যাস্ত মঞ্জুরুল
শুভ কুমার ঘোষ, সিরাজগঞ্জঃ
নিজ কর্মস্থলে না থেকে, নিজের কাজ ফাকি দিয়ে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস নিয়ন্ত্রনে ব্যস্ত থাকেন উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম। তিনি সবকিছু ম্যানেজ করেই উপজেলা কৃষি অফিসের বেশির ভাগ কাজ সে নিজেই করে থাকেন। এখানেই শেষ নয়, মঞ্জুরুলের থাকার কথা পাঙ্গাসী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড এলাকায়।
কিন্তু কয়েক বছর যাবৎ তার নিজ কর্মস্থলে না থেকে রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসেই থাকেন এবং সব নিয়ন্ত্রন করেন। সরেজিমেন গিয়ে দেখা যায়, পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদে ইউনিয়ন কৃষি সেবা কেন্দ্র অফিস। কিন্তু সেটা বন্ধ পাওয়া যায়। মঞ্জুরুল কে ফোন করলে তিনি বলেন আমি উপজেলা কৃষি অফিসে আছি চলে আসেন। যাওয়া হয় উপজেলা কৃষি অফিসে। সেখানে গিয়ে দেখা যায় অন্য চিত্র। কৃষি অফিসে ঢোকার আগেই দেখা হয়ে যায় মঞ্জুরুলের সঙ্গে। তিনি সাংবাদিকদের সোজা নিয়ে যান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে।
সেখানে গিয়ে দেখা যায় আরো এক ভিন্ন চিত্র। সেখানে মঞ্জুরুলের কথা বলা ও সার্বিক ভাব দেখে মনে হচ্ছিল উপজেলা কৃষি অফিসের সেই সবকিছু। সাংবাদিকদের পরিচয় পেয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম ধমক দিয়ে থামিয়ে দিয়ে সংযত হতে বলেন মঞ্জুরুলকে। পরে প্রসঙ্গ বদলিয়ে কথা নিয়ে যান অন্যদিকে। এব্যাপারে পাঙ্গাসী ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি আব্দুর রহমান সরকার বলেন, পাঙ্গাসী ইউনিয়নের ২নাম্বার ওয়ার্ডের ৪, ৫, ৬ নাম্বার ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মঞ্জুরুল। তার কাজ করার কথা সেই এলাকাতেই কিন্তু সে প্রায় ৫-৬ বছর হলো ঠিকমতো আসেন না নিজ কর্মস্থলে। কৃষি অফিসের সব ভাগ বাটোয়ারা নিয়ন্ত্রনে রাখতে সে উপজেলা কৃষি অফিসেই থাকেন।
এতে সেই এলাকার প্রকৃত ও প্রান্তিক কৃষকগণ সরকারের দেয়া কৃষি বিষয়ের সকল সুযোগ সুবিধা ও কৃষি বিষয়ের নানান দিক থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এবং অসংখ্য কৃষকের কৃষি কার্ড নিজের কাছে রেখে দেয়ার কথাও বলেন তিনি। এবিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, উপজেলা অফিসে কর্মী স্বল্পতার কারণে আমরা তাকে রেফার্ট করে উপজেলাতেই রেখেছি। এখানে অনেক কাজেই তাকে প্রয়োজন হয়।