সিরাজগঞ্জ সদরে দুই স্কুল ছাত্রীকে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা করলেন এসিল্যান্ড ।

আজিজুর রহমান মুন্না,সিরাজগঞ্জ ঃ

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় দুই স্কুল ছাত্রীকে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা করেছেন সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আনিসুর রহমান।
রোববার (২৮এপ্রিল -২০১৯) রাতে সিরাজগঞ্জ সদরের বাগবাটি ইউনিয়নের ইছামতি গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী মোছাঃ ফাতেমা খাতুন (১৩) এবং অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী মোছাঃ জান্নাতী খাতুন (১৪) এর বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়। আদালত সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জ সদরের বাগবাটি ইউনিয়নের ইছামতি গ্রামে সংগীয় ফোর্স নিয়ে কনের বাড়ীতে উপস্থিত হন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তখন কনের বাড়ীতে কনে ইছামতি গ্রামের মতিয়ার রহমানের মেয়ে ফাতেমা খাতুন (১৩) এর সাথে বর রায়গঞ্জ উপজেলার পূর্ব পাইকড়া গ্রামের শামছুল হক এর পুত্র নূর মোহাম্মদ শেখ (২০) এর বিয়ের আয়োজন চলছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে কাজী পালিয়ে যায়।

কনে রাজিবপুর দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। বর ও কনে অপ্রাপ্তবয়স্ক। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দিয়ে কনের বাবা ও বরের বাবার কাছ থেকে বর ও কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবে না বলে মুচলেকা নেন এবং বরের বাবা শামছুল হক ও কনের বাবা মতিয়ার রহমান এর প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর একই গ্রামে বাল্যবিবাহ বন্ধে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। তখন কনের বাড়ীতে কনে ইছামতি গ্রামের বুদ্দু শেখের কন্যা জান্নাতী খাতুন (১৪) এর সাথে বর রায়গঞ্জ উপজেলার ব্যাংগনাই গ্রামের শুকুর এর পুত্র কাশেম আলী (২২) এর বিয়ের আয়োজন চলছিল। কনে রাজীবপুর দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত বাল্যবিবাহ বন্ধ করে কনের বাবা বুদ্দু শেখ ও বরের বাবা শুকুর আলীর প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত । পরে কনের বাবার কাছ থেকে কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দিবেন না বলে মুচলেকা নেয়া হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পৌর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম, সদর থানার এএসআই মাসুম ও সদর থানা পুলিশের সদস্যবৃন্দ।