সিরাজগঞ্জে ন্যায় বিচারের দাবিতে আদালতে মামলা, কবর থেকে লাশ উত্তলন।

রেজাউল করিম সিরাজগঞ্জ ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি ঃ

গৃহবধূ মরিয়ম খাতুনের হত্যা মামলা চলমান, ন্যায্য বিচারের দাবিতে এলাকাবাসির মানববন্ধন,পূনরায় ময়না তদন্তের জন্য মারা যাওয়ার ৪ মাস পর মরিয়ম খাতুন নামের এক গৃহবধূর মরদেহ কবর থেকে উত্তলন করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে বুধবার দুপুরে আদালতের নির্দেশে উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের তামাই পশ্চিম পাড়া হাট সংলগ্ন কবরস্থান থেকে এ মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেলকুচি উপজেলার নির্বাহী অফিসার আনিসুর রহমান, মামলার পিবিআই এর তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর গোলাম কিবরিয়া ও ডাক্তার তারেক আজিজ। মরদেহ উত্তোলনের খবর পেয়ে স্থানীয় শতশত জনতা ঘটনাস্থলে ভিড় জমায়।

মৃত মরিয়ম খাতুন ওই গ্রামের শামসুল হকের মেয়ে। মেয়ের মৃত্যুর বিষয়ে মা সেলিনা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন।

এ বিষয়ে সেলিনা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ১৮ অক্টোবর আমি বেলকুচি থানায় আমার মেয়ে মরিয়ম হত্যার মামলা দাখিল করি। এ বিষয় এক মাস পরে জানতে পারি হত্যা মামলা না নিয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। যার কারণে আমি ন্যায় বিচার পেতে বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে মরদেহ উত্তোলনসহ ঘটনার পূনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন।’ তিনি পুনরায় সুষ্ঠু তদন্তে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

পিবিআই কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়ার নিকট মরদেহ উত্তলনের বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান, এ মামলা আমি তদন্ত করেছি। বেলকুচি থানায় একটি মামলা করা হয়েছিল তদন্ত সাপেক্ষে পূর্ব কর্মকর্তা মামলাটির ফাইনাল রিপোর্ট দেয়। পরবর্তীতে বাদিনি বিজ্ঞ আদালতে ন্যায্য বিচারের দাবিতে একটি মামলা করেন, এমনকি বাদিনি তার মেয়ের লাশ কবর থেকে তুলে পূনরায় ময়না তদন্তের জন্য আবেদন করেন। তাই কোর্টের অনুমতি সাপেক্ষে বিজ্ঞ আদালতের উপস্থিতিতে লাশটা তোলা হয়েছে। পূনরায় ময়না তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ সয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।