সরিষাবাড়ীতে সহকারী কমিশনার (ভূমি)র গাড়িতে এলাকাবাসীর হামলা আটক ১

তৌকির আহাম্মেদ হাসু স্টাফ রিপোর্টারঃ

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সহকারী কমিশনার (ভূমি)র গাড়িতে এলাকাবাসীর হামলা ও সরকারী ৪ কর্মচারী লাঞ্চিত করার অভিযোগ
উঠেছে।সরকারী কাজে বাধা ও সরকারী ৪ কর্মচারী লাঞ্চিত কারীকে আটকের ৪ ঘন্টার পর মুচলেকায় মুক্তি দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।আজ সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার আওনা ইউনিয়নের জগন্নাথগঞ্জ
জেটি ঘাট এলাকায় যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে এক
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা চলাকালে এ ঘটনা ঘটেছে।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে-সরিষাবাডীতে চলছে ঝিনাই নদী
থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের মহোৎসব।অনুমোদিত কোনো বালুমহাল নেই।নদী থেকে বালু উত্তোলনে নেই প্রশাসনের অনুমতিও।তারপরেও রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা মাসের পর মাস উপজেলার ঝিনাই নদীর একাধিক
স্থান থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবাধে চলছে বালু উত্তোলন।অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট
ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত এক ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করে ৬
টি ড্রেজার মেশিনে আগুন জ্বালিয়ে এবং পাইপ ধবংস করা হয়।ওই মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় বালু উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট সদস্য আওনা
ইউনিয়নের ঘুইঞ্চার চর গ্রামের আফজাল মন্ডলের ছেলে শাহজামাল(৩৫) এর
নেতৃত্বে শতাধিক স্থানীয় লোকজন দিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি)র গাড়িতে হামলা করে এই হামলায় অফিসের ড্রাইভার
লিকসন মিয়া,আওনা ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক শফিকুল ইসলাম,পিংনা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক শাহীন মিয়া ও
উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি)অফিসের ঝাড়ুদার সাজু বাশফোর কে শার্টের কলার ধরে টানা হেচড়া ও সহকারী কমিশনার(ভূমি)র গাড়ী ভাংচুর করার চেষ্টা করে। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমান
আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত এর নির্দেশে সরিষাবাড়ী থানার এস আই আরিফুল ইসলাম সহ সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যরা জগন্নাথগঞ্জ জেটি ঘাট এলাকা থেকে শাহজামাল(৩৫)কে সরকারী কর্মচারী জনস্বার্থে কাজে বাধা দেয়ার অপরাধে আটকের নির্দেশ
প্রদান করেন। পুলিশ শাহজামালকে সরিষাবাড়ী থানায় নিয়ে আসে। এরপর বালু উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট সদস্য শাহজামাল তার অপরাধের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং ভবিষ্যতে এমন অপরাধ করবে না মর্মে মুচলেকা
প্রদান করলে পৌর কাউন্সিলর সাখাওয়াত হোসেন মুকুল ও উপজেলা আওয়ামী
যুবলীগের সহ সভাপতি আনোয়ার হোসেন রাঙ্গার জিম্মায় মুক্তি দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত জানান, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৬টি ড্রেজার মেশিন এবং পাইপ ধ্বংস করা হয়।ওই মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় বালু উত্তোলনকারী শাহজামাল(৩৫)কর্তৃক সরকারী কর্মচারী জনস্বার্থে কাজে বাধা দেয়ার অপরাধে তাকে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়। বালু উত্তোলনকারী শাহজামাল তার অপরাধের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং ভবিষ্যতে এমন অপরাধ করবে না মর্মে
মুচলেকা নিয়ে তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।