উল্লাপাড়ায় পৌর মেয়রের সংবাদ সম্মেলন,ভাগিয়ে নয় উভয় পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে হয়েছে
উল্লাপাড়া প্রতিনিধিঃ মোঃ আব্দুস ছাত্তার
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌরসভার মেয়র এস এম নজরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে স্থানিয় প্রচার মাধ্যম ও অনলাইনে কয়েক দিন ধরে যে অপপ্রচার ও চরিত্র হরনের খবর প্রচার হয়েছে, সেই বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উল্লাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তার বিরুদ্ধে একটি স্থানীয় প্রচার মাধ্যম ও অনলাইন মাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ কে মিথ্যা, অসত্য বলে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান। সংবাদ সম্মেলনে মেয়র বলেন উল্লাপাড়া সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা গুশানারা পারভীন পান্নাকে পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা এস এম নজরুল ইসলাম ভাগিয়ে নিয়ে গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিয়ে করেননি । উভয় পরিবারের সর্ব সম্মতিক্রমেই বিয়ে করেছেন । ওই সংবাদ সম্মেলনে পৌরসভার ৮ জন নির্বাচিত কাউন্সিলর, পৌর আওয়ামী লীগের ৯টি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তারাও প্রচারিত ওই সংবাদ মিথ্যা ও অসত্য বলে এর তীব্র নিন্দা জানান ।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র এস.এম. নজরুল কর্তৃক উপস্থাপিত কাগজপত্রে দেখা যায়, তার প্রথম স্ত্রী জেসমিন জয়ার সাথে ২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর তারিখে তালাকের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। অপর দিকে গত ২০১৬ সালের ২৭ জুলাই তারিখে গুলশানারা পারভীন পান্না তার উপর শারীরিক, মানুষিক নির্যাতনে তার স্বামী রুমান সাইদ রাজনকে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করে এবং ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল এ্যাড. শামছুল আলমের মাধ্যমে তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার বেতুয়া গ্রামে উভয়ের সম্মতিতে রাজন ও পান্নার বিবাহ বিচ্ছেদ হয় ।
গত ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট মাসে মেয়র ও পান্নার পরিবারের যৌথ সিদ্ধান্তে ১০ লাখ টাকা দেন মোহরে অনারম্ভর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মেয়র এস এম নজরুল ইসলাম, গুলশানারা পারভীন পান্নাকে ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক দ্বিতীয় বিয়ে করেন । এ বিয়েতে গুলশানারা পারভীন পান্না’র পিতা মুক্তিযোদ্ধা গোলাপ হোসেন, মাতা-জাকিয়া সুলতানা ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং মেয়রের পিতা মোঃ চাঁদ আলী সরকার, মাতা মোছাঃ তারা ভানু ও পরিবার সহ পৌর শহরের গন্যমান্য ব্যক্তি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন । ইতি মধ্যেই জেসমিন জয়া’র দ্বিতীয় বিয়েও হয়ে গেছে। সংবাদ সস্মেলনে উপরোক্ত তথ্য উপস্থাপন করে মেয়র বলেন, এরপরেও কিভাবে আমার বিরুদ্ধে চরিত্র হরণ সহ নানা নোংরা সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে ? এ প্রশ্ন করেন মেয়র ?