আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন উল্লাপাড়ার নারীরা।
আজিজুর রহমান মুন্না সিরাজগঞ্জ ঃ
দক্ষ কর্মী হিসেবে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হচ্ছেন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার নারীরা। পশুপালন পালন, সেলাই পেশাসহ বিভিন্ন কারখানায় কাজ করছেন তারা। এছাড়া ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবেও স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেকে। স্থানীয় মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের তিনটি কর্মসূচিতে প্রশিক্ষিত ৩৬০ নারী কর্মসংস্থান এবং ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচিতে ১৮৬ নারীর স্বনির্ভর হয়েছেন। সবশেষ গত এক মাসে ২ হাজার ৫৯৮ নারীকে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হওয়ায় সহাযোগিত করা হয়েছে। অধিদফতর সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানান, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও স্বাবলম্ব অর্জনের জন্য গত ৫ বছরে তিনটি কর্মসূচিতে নারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সেলাই প্রশিক্ষণে ২৪০ জন, বিউটিফিকেশনে ৬০ ও ব্লক-বুটিকে ৬০ জন নারীকে প্রশিক্ষণ ২৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচিতে ১৮৬ নারীকে প্রশিক্ষণ শেষে ১৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গত এক সপ্তাহে দুঃস্থ মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় উপজেলা ১৪টি ইউনিয়নের ২ হাজার ৫৯৮ জন নারীর মধ্যে সঞ্চয়ী ১ কোটি ৭ লাখ ৩৩ হাজার ৪২০ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা জানান, প্রশিক্ষণ ও অর্থ সহায়তা প্রাপ্ত এসব নারী ক্ষুদ্র উদ্যেক্তা হিসেবে পশু ও হাঁস-মুরগী পালন, শাক-সবজি চাষাবাদে বিনিয়োগ করবেন। এ জন্য তাদের টানা ২৪ মাস ৩০ কেজি করে বিনামূল্যে চাল দেওয়া হয়েছে। এখন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী দক্ষ কর্মী, সফল ক্ষুদ্র উদ্যেক্তা হিসেবে গড়ে উঠেছেন। মহিলা অধিদপ্তর থেকে মোছা. রোজিনা খাতুন দর্জি ও ব্লক বুটিকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। তিনি বাড়িতে বসেই পোষাক তৈরি ও বুটিকের কাজ করছেন। এতে প্রতি মাসে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা আয় হয় বলে জানান। তার কাছ থেকে এলাকা বেশ কয়েকজন নারী প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। একই ভাবে ঝিকিড়া ও ঘোষগাঁতীতে ১০ থেকে ১২ জন নারী দর্জি পেশায় কাজ করছেন। পৌর শহরের ঝিকিড়া মহল্লায় এলআইডি নামের একটি কারখানায় এলাকার বিভিন্ন বয়সী ৮০ জন মহিলা কাজ করছেন। এরা লেদারে নকশা কাটার কাজ করে। প্রায় সবাই মধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহবধু বলে জানা যায়। প্রতি মাসে সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা আয় করে থাকেন। কারখানার ইনচার্জ সাগর কুমার নন্দি জানান, এলাকার অস্বচ্ছল পরিবারের গৃহবধুরা এখানে কাজ করছেন। একই প্রতিষ্ঠানের পঞ্চক্রোশী কারখানায় ৭০ জন, অলিপুর কারখানায় ৩৫ নারী কাজ করছেন। উল্লাপাড়া পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, সমবায় বিভাগ, সমাজসেবা বিভাগ ও জাইকার উপজেলা পরিচালনা উন্নয়ন প্রকল্পে বিভিন্ন এলাকার গুচ্ছ গ্রামের বসতি পরিবারের নারীদেরকে বিভিন্ন কর্মসূচিতে প্রশিক্ষণ এবং ক্ষুদ্র ঋণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম সরকার বলেন, এরই মধ্যে পাঁচশতাধিক নারী বিভিন্ন কর্মসূচিতে অর্থ আয় করছেন। গ্রামীন নারীরা প্রতিটি কর্মসূচীতে তাদের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। ইউএনও মো. আরিফুজ্জামান বলেন, নারীরা শিক্ষা ও কর্মে দক্ষতার সাথে আরো এগিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সহ সরকারের বিভিন্ন বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা কর্মের মাধ্যমে আয় করছেন। গ্রামীণ নারীদেরকে আধুনিক প্রযুক্তির সাথে পরিচয় করার জন্য সরকারী ভাবে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে তারা এখন বড় ধরনের অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন।
দক্ষ কর্মী হিসেবে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হচ্ছেন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার নারীরা। পশুপালন পালন, সেলাই পেশাসহ বিভিন্ন কারখানায় কাজ করছেন তারা। এছাড়া ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবেও স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেকে। স্থানীয় মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের তিনটি কর্মসূচিতে প্রশিক্ষিত ৩৬০ নারী কর্মসংস্থান এবং ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচিতে ১৮৬ নারীর স্বনির্ভর হয়েছেন। সবশেষ গত এক মাসে ২ হাজার ৫৯৮ নারীকে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হওয়ায় সহাযোগিত করা হয়েছে। অধিদফতর সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানান, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও স্বাবলম্ব অর্জনের জন্য গত ৫ বছরে তিনটি কর্মসূচিতে নারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সেলাই প্রশিক্ষণে ২৪০ জন, বিউটিফিকেশনে ৬০ ও ব্লক-বুটিকে ৬০ জন নারীকে প্রশিক্ষণ ২৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচিতে ১৮৬ নারীকে প্রশিক্ষণ শেষে ১৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গত এক সপ্তাহে দুঃস্থ মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় উপজেলা ১৪টি ইউনিয়নের ২ হাজার ৫৯৮ জন নারীর মধ্যে সঞ্চয়ী ১ কোটি ৭ লাখ ৩৩ হাজার ৪২০ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা জানান, প্রশিক্ষণ ও অর্থ সহায়তা প্রাপ্ত এসব নারী ক্ষুদ্র উদ্যেক্তা হিসেবে পশু ও হাঁস-মুরগী পালন, শাক-সবজি চাষাবাদে বিনিয়োগ করবেন। এ জন্য তাদের টানা ২৪ মাস ৩০ কেজি করে বিনামূল্যে চাল দেওয়া হয়েছে। এখন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী দক্ষ কর্মী, সফল ক্ষুদ্র উদ্যেক্তা হিসেবে গড়ে উঠেছেন। মহিলা অধিদপ্তর থেকে মোছা. রোজিনা খাতুন দর্জি ও ব্লক বুটিকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। তিনি বাড়িতে বসেই পোষাক তৈরি ও বুটিকের কাজ করছেন। এতে প্রতি মাসে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা আয় হয় বলে জানান। তার কাছ থেকে এলাকা বেশ কয়েকজন নারী প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। একই ভাবে ঝিকিড়া ও ঘোষগাঁতীতে ১০ থেকে ১২ জন নারী দর্জি পেশায় কাজ করছেন। পৌর শহরের ঝিকিড়া মহল্লায় এলআইডি নামের একটি কারখানায় এলাকার বিভিন্ন বয়সী ৮০ জন মহিলা কাজ করছেন। এরা লেদারে নকশা কাটার কাজ করে। প্রায় সবাই মধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহবধু বলে জানা যায়। প্রতি মাসে সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা আয় করে থাকেন। কারখানার ইনচার্জ সাগর কুমার নন্দি জানান, এলাকার অস্বচ্ছল পরিবারের গৃহবধুরা এখানে কাজ করছেন। একই প্রতিষ্ঠানের পঞ্চক্রোশী কারখানায় ৭০ জন, অলিপুর কারখানায় ৩৫ নারী কাজ করছেন। উল্লাপাড়া পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, সমবায় বিভাগ, সমাজসেবা বিভাগ ও জাইকার উপজেলা পরিচালনা উন্নয়ন প্রকল্পে বিভিন্ন এলাকার গুচ্ছ গ্রামের বসতি পরিবারের নারীদেরকে বিভিন্ন কর্মসূচিতে প্রশিক্ষণ এবং ক্ষুদ্র ঋণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম সরকার বলেন, এরই মধ্যে পাঁচশতাধিক নারী বিভিন্ন কর্মসূচিতে অর্থ আয় করছেন। গ্রামীন নারীরা প্রতিটি কর্মসূচীতে তাদের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। ইউএনও মো. আরিফুজ্জামান বলেন, নারীরা শিক্ষা ও কর্মে দক্ষতার সাথে আরো এগিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সহ সরকারের বিভিন্ন বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা কর্মের মাধ্যমে আয় করছেন। গ্রামীণ নারীদেরকে আধুনিক প্রযুক্তির সাথে পরিচয় করার জন্য সরকারী ভাবে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে তারা এখন বড় ধরনের অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন।
