সিরাজগঞ্জে বিএনপি ও আওয়ামীলীগের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন
আজিজুর রহমান মুন্না, সিরাজগঞ্জঃ
শুক্রবারের (১৪ ডিসেম্বর) সংঘর্ষে বিএনপি নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ ও আহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশকে দায়ী করে করলেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী বেগম রুমানা মাহমুদ।
অপরদিকে, বিএনপির বিরুদ্ধে নৌকার সমর্থকসহ অন্যান্য নেতাদের বসতবাড়ি ভাঙচুর ও পোস্টার ছিড়ে ফেলা অভিযোগ করেছেন নৌকার প্রার্থী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না।
শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে হোসেনপুর মহল্লার নিজ বাসভবনে বিএনপি প্রার্থী রুমানা মাহমুদ ও দুপুরের দিকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না সংবাদ সম্মেলন করে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেন।
সাবেক এমপি, জেলা বিএনপি’র সভাপতি বেগম রুমানা মাহমুদ বলেন, ‘শুক্রবার বিকেল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে সশ্রস্ত্র অবস্থায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। সন্ধ্যার দিকে দলীয় অফিসে যাবার পথে ইসলামিয়া সরকারি কলেজ এলাকায় পৌঁছলে পুলিশ আমাদের উপরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এতে তিনি নিজে ও তিনজন গুলিবিদ্ধ সহ দলের অনন্ত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আহতদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বিএনপির ছয় নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
শুক্রবারের ঘটনার পুলিশ সুপার ও সদর থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং তদন্ত ইন্সপেক্টরকে দায়ী করে তাদের অপসারণে দাবি করেন রুমানা মাহমুদ। সংবাদ সম্মেলনে সিরাজগঞ্জ-৩, ৪, ৫ ও ৬ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের ওপরে হামলা, বসতবাড়ি ভাঙচুর ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগও করেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী আব্দুল মান্নান তালুকদার, বিএনপি নেতা মজিবুর রহমান লেবু, সাইদুর রহমান বাচ্চু, আবু সাঈদ সুইট, নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, নুর কায়েম সবুজ, মির্জা মোস্তফা জামান, হারুন অর রশিদ খান হাসান, অমর কৃষ্ণ দাস প্রমুখ।
দুপুরের দিকে, দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও এমপি ডাঃ মোঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনী প্রচারণায় না এসে নাশকতার পথ বেছে নিয়েছে। তারা শহরের বিভিন্ন স্থানে নৌকার পোস্টার ছিড়ে ফেলছে। দলের নেতাকর্মী ও নৌকার সমর্থকদের বসতবাড়ি ভাঙচুর ও বোমা হামলা করছে।’
এসব ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানান তিনি।
শুক্রবারের ঘটনার সময় আওয়ামী লীগের কেউ ছিল না উল্লেখ করে মুন্না বলেন, ‘পুলিশের ওপরে বিএনপি নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এতে পুলিশের চারজন সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনার দিন পুলিশ সুপার সিরাজগঞ্জে না থাকলেও বিতর্কিত করার উদ্দেশ্যেই তাকে বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান, কে.এম হোসেন আলী হাসান, মোস্তফা কামাল খান, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও পাবনা- সিরাজগঞ্জ সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি, সেলিনা বেগম স্বপ্না, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সন্তোষ কানু প্রমুখ।