সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ২নং বারুহাস ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়নে এগিয়ে রয়েছেন প্রভাষক মোকতার হোসেন মুক্তা।
লুৎফর রহমান, তাড়াশঃ
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ২নং বারুহাস ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়নে এগিয়ে রয়েছেন প্রভাষক মোকতার হোসেন মুক্তা।
দলীয় সুত্রে জানা যায়, মোকতার হোসেন মুক্তা ১৯৮৫-১৯৮৬বর্ষে চাটমোহর ডিগ্রী কলেজের ছাত্র সংসদের এ,জি,এস ছিলেন।
২০০১ সালে উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক ছিলেন।
২০০৪-২০০৫ পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীসেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য ছিলেন।
২০০৫ সাল হতে ২০১৩ সাল পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামীসেচ্ছাসেবক লীগের নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০১৩ সাল হতে অদ্যবদি পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
সরকারী বঙ্গমাথা শেখ ফজিলাতুনেছা মুজিব আইডিয়াল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব। এছাড়া ও তিনি বিনোদপুর খরখড়িয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি হিসের দায়িত্ব পালন করেছেন।
তাড়াশ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের গভনিংবডির একাধিক বার নির্বাচিত সদস্য।
নওগাঁ বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
মহামারি করোনায় সময় নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে করোনায় রোগীর পাশে দাড়িয়েছেন। অসহায় দুস্থ মানুষের মাঝে ত্রান বিতরণ করেছেন।
পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে এবারো তিনি এলাকাবাসীর মনের আশা পূরণের জন্য নৌকার মাঝি হতে চান। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে এলাকাবাসীর মাঝে ঐক্য আরও সুদৃঢ় হচ্ছে। মোকতার হোসেনকে পুনরায় চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করার জন্য চলছে ভোটারদের মাঝে ব্যাপক আলোচনা। ইউনিয়নের সব শ্রেণীপেশার মানুষ একতাবদ্ধ হয়ে চালিয়ে যাচ্ছে প্রচারণা।
বঙ্গবন্ধুর সৈনিক মুক্তা জানান, দল থেকে যদি পুনরায় আমাকে মনোনয়ন দেয় আমি নৌকা নিয়ে নির্বাচনে জয় লাভ করে ইউনিয়নকে বাংলাদেশের মধ্যে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। তিনি আরো বলেন তাঁর প্রতি জনসমর্থন অন্যসব প্রার্থীর তুলনায় বেশি রয়েছে। আমি মানুষের যে ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়েছি তা অভূতপূর্ব। দলের নেতা কর্মীরা উৎসাহ দিচ্ছেন। আবার নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করার সুযোগ পেলে ভোটাররা বিপুল ভোটে আমাকে বিজয়ী করবেন বলে বিশ্বাস করি।
এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দল যদি আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেয় তাহলে ইউনিয়নের তরুন, শিক্ষিত, সচেতন ভোটাদের সাথে নিয়ে ইউনিয়নের গরীব, দুঃখী মেহনতী মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করব। অতীতে ও বর্তমানে যেভাবে সকল মানুষের বিপদে ঝাপিয়ে পড়েছি ঠিক তেমনি ভাবে মানুষের পাশে থাকবো।
বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় মোকতার হোসেন মুক্তা সকল প্রার্থীর চেয়ে দলীয় মনোনয়নে এগিয়ে রয়েছেন । তাঁকে নৌকা প্রতিক দেওয়া হলে বিজয় সুনিশ্চিত বলে ধারণা করছেন তৃণমূলের ভোটাররা।
চেয়ারম্যান প্রার্থী মুক্তা বলেন,দল যদি আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেয় তাহলে জনগনের ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী হবো ইনশআল্লাহ।