উল্লাপাড়াকামারখন্দ

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া ও কামারখন্দের ফুলজোড় নদীতে শুষ্ক মৌসুমেও তীব্র ভাঙন

আজিজুর রহমান মুন্না, সিরাজগঞ্জ ঃ

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া ও কামারখন্দ উপজেলার ফুলজোড় নদী ঘেষা বিভিন্ন গ্রামে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। শুষ্ক মৌসুমেও এ ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে এ অঞ্চলের ২ শতাধিক পরিবার। ইতোমধ্যে বাড়িঘরসহ জায়গা জমি ও শতাধিক গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। প্রায় গতকয়েকদিন ধরে এই ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করলেও সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে প্রকাশ, উক্ত দুইটি উপজেলার মধ্যেবর্তী স্থান দিয়ে ওই ঐতিহাসিক ফুলজোড় নদী বয়ে গেছে। এ নদীর অনেক স্থানে স্রোত ও গভীরতা কমে গেলেও নদীর তীরবর্তী গ্রামবাসী ভাঙ্গনের কবল থেকে রেহাই পায়নি। দীর্ঘদিন ধরে এ ভাঙ্গনে অনেক পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ ও ভিটেবাড়ী হারিয়েছেন। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এ দুইটি উপজেলার চর-নূর নগর, নূর নগর, তেতুলিয়া, ঝাটিবেলাই, ধামকোল, চিলারপাড়া, আমডাঙ্গা, উলিপুর, তিয়রহাটি, বড়হর পূর্বপাড়া ও কালিগঞ্জ গ্রামসহ অনেক স্থানে। এসব গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারসহ অনেকেই বলছেন, শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই এ ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রায় ৩ সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫/১৬টি বসতভিটা ও বেশ কয়েক বিঘা কৃষিজমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের তীব্রতা দিন-দিন বাড়তে শুরু করেছে। শতাধিক পরিবার তাদের ঘর-বাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে ইতিমধ্যেই। প্রতিবছরই এখানে ভাঙনের কারণে এ অঞ্চলের অনেক কৃষক ভিটেমাটি ও ফসলি জমি হারিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়ছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জহুরল ইসলাম নান্নু ও ইউপি সদস্য জিয়া রহমান বলেন, প্রায় দুই মাস ধরে ফুলজোড় নদীর পানি ক্রমাগতভাবে কমছে। সেইসাথে ফুলজোড় নদীর ভাঙনও শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে। ভাঙনরোধে এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বার্হী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধার নদী খনন ও শাসন কাজে সরকার ইতিমধ্যেই ২৩’শ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জ অংশের প্রকল্প কাজে ১৪’শ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সরকারি বিধিমতে খুব শীঘ্রই এ প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।