তাড়াশ

নিয়ম-নীতি উপেক্ষিত তাড়াশে সুফল ভোগীদের পুকুর সাব লীজ দিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

 

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা :

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নিয়ম-নীতি উপক্ষো করে মৎস্য চাষ (রাজস্ব) প্রকল্পের আওতায় সুফল ভোগীদের পুকুর সাব- লীজ দিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মথুরা দিঘি সুফলভোগী সমবায় সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ করেছেন সমিতির সম্মানীত সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুস সামাদ খন্দকারসহ একাধিক সদস্য। এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের নওগাঁ গ্রামে।
উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মৎস্য চাষ (রাজস্ব) প্রকল্পের আওতায় উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের নওগাঁ গ্রামের ৮ একর আয়তনের মথুরা দিঘি অবস্থিত। দিঘিটি উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর থেকে বিধি মোতাবেক ওই দিঘির পাড়ে বসবাসকারী ৬২ জন সুফল ভোগীদেরকে বৎসর ভিত্তিক লীজ নবায়নের মাধ্যামে সুফল ভোগী সদস্যরাই মাছ চাষ করবেন শর্তসাপেক্ষে লীজ দেয়া হয়। কোন সুফল ভোগীদের পুকুর কিংবা দিঘি অন্যত্র সাব লীজ দেয়ার কোন বিধান নেই।
অভিযোগে সুত্রে জানা গেছে, উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর থেকে মথুরা দিঘি সুফলভোগী সমবায় সমিতি বছর ভিত্তিক ডিসিআর কেটে ওই ৮ একর আয়তনের মথুরা দিঘিটি সমবায় সমিতির মাধ্যমে ৬২ জন সুফল ভোগী সদস্য দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু গত ৩ মাস পূর্বে ওই সমবায় সমিতির সভাপতি মো. নূরুল ইসলাম জুমা ও সাধারণ সম্পাদক শ্রী গৌড় সরকার সদস্যদের না জানিয়ে এবং তাদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে সাব লীজ দেন। আর তারা একই গ্রামের মৎস্য চাষী মো. সিদ্দিকুর রহমানে নিকট ৬ লাখ টাকায় এক বছরের জন্য সাব-লীজ প্রদান করেন। লীজকৃত টাকার অংশ সদস্যদের না দিয়ে পুরো টাকাই তারা আত্মসাত করেন। এ বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে দিঘি পাড়ের সদস্যদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে সুফল ভোগী সম্মানীত সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুস সামাদ খন্দকার, সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.আব্দুর রউফ, আল-বরাত, শ্রী বদ্যনাথ হলদারসহ একাধিক সদস্য বলেন, মথুরাদিঘি সাব-লীজের বিষয়ে কিছুই আমরা জানি না এবং কোন টাকাও এখন পর্যন্ত পাইনি।
টাকা আত্মসাত ও তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে সাধারণ সম্পাদক শ্রী গৌড় সরকার বলেন, সদস্যরা গবীর হওয়ার কারণে দিঘিতে মাছ চাষের ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। তাই সবার সম্মতিতে মথুরাদিঘিটি ৪ লাখ টাকায় লীজ দেয়া হয়েছে। আর টাকা গুলো সদস্যদের মাঝে সম-বন্টনও করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মশগুল আজাদ বলেন, সুফলভোগীদের বাইরে অন্যত্র দিঘি বা পুকুর সাব- লীজ দেয়া যাবে না। অন্যত্র সাব- লীজ দিলে লীজের বিষয়ে বিধি মোতাবেক তদন্ত পূর্বক করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

লুৎফর রহমান
তাড়াশ, সিরাজগঞ্জ
২১/০১/২০২২