সিরাজগঞ্জ

না ফেরার দেশে চলে গেলেন গানের পাখি ঠান্ডু বয়াতি!

শুভ কুমার ঘোষ, সিরাজগঞ্জঃ

না ফেরার দেশে চলে গেলেন সিরাজগঞ্জের গানের পাখি ঠান্ডু বয়াতি। আজ দুপুরে কাটাওয়াবধা বাধের পাশে জরাজীর্ণ বাড়িতে তিনি মৃত্যু বরন করেন। গত কয়েক দিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। আজ শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে নেবার পূর্বেই তার মৃত্যু হয়। আজ (৭মে) বাদ মাগরিব মালশা পাড়া কবরস্থানে তার দাফন কার্য সম্পুর্ণ করা হয়। তার পালিত ছেলে আলম বয়াতি জানান, কয়েকদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন। মঙ্গলবার জোহরের আজানের পর তিনি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ডাক্তারের কাছে নেয়ার পূর্বেই তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরলে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষ, তার ভক্ত ও গানের শিষ্যরা বাড়িতে ভিড় জমায়। সিরাজগঞ্জ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এবং সিরাজগঞ্জ সাংস্কৃতিক ফোরাম, সিরাজগঞ্জ বাউল একাডেমি তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে। সিরাজগঞ্জের বাউল সংগীতের একজন নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন ঠান্ডু বয়াতি। মঞ্চের পাশাপাশি তিনি হাটে, ঘাটে, মাঠে ময়দানে গান গেয়েছেন। গান গেয়ে অর্থ তুলে জীবীকা নির্বাহ করতেন তিনি। ঠান্ডু বয়াতির মৃত্যুতে জেলা কালচারাল অফিসার মাহমুদল হাসান লালন, সিরাজগঞ্জ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি হেলাল আহমেদ, সিরাজগঞ্জ সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি জান্নাত আরা তালুকদার হেনরি, সিরাজগঞ্জ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এবং সিরাজগঞ্জ সাংস্কৃতিক ফোরামের সাধারন সম্পাদক দিলীপ গৌর, সিরাজগঞ্জ নাট্য ফেডারেশনের সভাপতি হীরক গুণ, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মী সোহাগ ফরিদুল, তাহমিনা হোসেন কলি সহ সবাই গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। উল্লেখ্য, মা মাটির গান গেয়ে যাওয়া, গানের জন্য সময় উতস্বর্গ করা ঠান্ডু বয়াতি শেষ জীবনে করে গেলেন অমানবিক কষ্ট। অর্থাভাবে চিকিৎসা টাও করতে পারেননি সঠিক ভাবে। তাই সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সকলেরই চাওয়া যেন এই ধরনের মা মাটির শিল্পীদের সম্মানিত ও যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়। অর্থাভাব যেন হারিয়ে না যায় প্রতিভা গুলো।