চৌহালীতে মহান মে দিবস পালিত।

মোঃ ইমরান হোসেন ( আপন ), সিরাজগঞ্জপ্রতিনিধি:

মহান মে দিবস আজ। শ্রমিকের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে অধিকার আদায়ের গৌরবময় দিন।
সারাবিশ্বেই দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালন করা হয়। দিবসটি প্রতিষ্ঠার পেছনে রয়েছে শ্রমিকদের রক্তঝরা আত্মত্যাগের ইতিহাস। তারই দ্বারাবাহিকতায় সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলায় অটো টেম্পু, অটো রিক্সা,ও সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়ন আয়োজিত র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বেবিষ্টান্ড মোড় হতে শুরু করে বাজারের প্রধান,প্রধান সড়ক প্রতিক্ষণ করে চৌহালী সরকারি কলেজ মাঠে এসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।শ্রমিক ইউনিয়ন,চৌহালী উপজেলার মো: জাহাঙ্গীর ফকিরের সভাপতিত্বে এবং আ: রহিম রেজার পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্তিত ছিলেন,চৌহালী উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক,ফারুক সরকার,উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি,হাবিবুর রহমান হাবিব,সহ- সভাপতি, আ: রশিদ বাবুল, উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান মোল্লা বাবুল আক্তার, চৌহালী উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি,আবু সাইদ বিদুৎ, শ্রমিক লীগের অন্যতমও নেতা,আবুল কালাম,আব্দুল্লা,হানিফ মেম্বর সহ – প্রমুখ।
দীর্ঘ শোষণ-বঞ্চনা-অত্যাচার আর নিপীড়নের বিরুদ্ধে ১৮৮৬ সালের পহেলা মে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিকরা সব কল-কারখানায় শ্রমিক ধর্মঘটের ডাক দেন। আট ঘণ্টা কাজ এবং নায্য মজুরির দাবিতে সেদিন শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দেন। লাল ঝাণ্ডা হাতে সেদিন প্রায় তিন লাখ শ্রমিক শিকাগো শহরের হে মার্কেটের সামনে বিক্ষোভ করেন। হে মার্কেটের সামনে শ্রমিকদের বিক্ষোভ সেদিন এক বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হয়। বিক্ষোভের একপর্যায়ে পুলিশ বিনা উস্কানিতে শ্রমিকদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। পুলিশের গুলিতে প্রায় ১০ জন শ্রমিক নিহত হন।
হে মার্কেটে ১০ জন শ্রমিক নিহতের ঘটনায় শ্রমিক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারাবিশ্বে। শ্রমিকদের সঙ্গে সেই আন্দোলনে সাধারণ ছাত্র-জনতাও সামিল হয়। বিশ্বজুড়ে তীব্র শ্রমিক আন্দোলন গড়ে ওঠে। যার ফলে যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিকদের আট ঘণ্টা কাজের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয়।
১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই প্যারিসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে শিকাগোর শ্রমিকদের জীবনদান।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তার বক্তৃতায় বলেন-
বাংলাদেশে এখনও শ্রমিকরা তাদের প্রাপ্য মজুরি থেকে বঞ্চিত। দেশে এখনও মজুরি বৈষমের স্বীকার শ্রমিকরা। তাই মে দিবস শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে, শ্রমিকদের যথাযোগ্য প্রাপ্য ও সুযোগ-সুবিধা দিলেই মে দিবসের স্বার্থকতা আসবে বলে আমি মনে করি।