কাজিপুরের চরকাদহে জোরপূর্বক ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কাজিপুর উপজেলার সোনামুখি ইউনিয়নের চরকাদহ গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা আঙ্গুরী খাতুন(৪২)এর বসতবাড়ীতে গভীর রাতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে একই ইউনিয়নের হরিনাথপুর বাজার পাড়া এলাকার সোনার উদ্দিনের পুত্র মুন্নাত ও সহযোগী চরকাদহ গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদের পুত্র স্থানীয় গ্যাংয়ের অন্যতম প্রধান রিপন মিয়া(২২) এর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনার পরপরই অভিযুক্তরা আত্মগোপনে রয়েছে বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (৩০-জুলাই) গভীর রাতে স্বামী পরিত্যক্তা আঙ্গুরী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরে প্রবেশের সময় পিছন থেকে মুন্নাত ও রিপন মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ঘরে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে মুন্নাত
জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ও রিপন হাত-মুখ চেপে ধরে ভিডিও ধারণ করে। ঘটনা কাউকে জানালে প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে চলে যায়।

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, মোহাম্মদের পুত্র রিপন এলাকায় একটি সক্রিয় গ্যাং পরিচালনা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এ ধরনের ঘটনা ইতিপূর্বে ঘটালেও স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অভাবে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে রিপন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে রিপনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ করে কেটে দেন। পরবর্তীতে একাধিক বার ফোন দিলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

অভিযোগের বিষয়ে মুন্নাতের সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

মুন্নাতের চাচা জুড়ান কাজী জানান, বিষয়টি জানতে পেরে মুন্নাতের সাথে কথা বললে মুন্নাত ভিডিও ধারণের কথা স্বীকার করলেও ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করে।

ইউপি সদস্য আশাদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আঙ্গুরী আমার নিকট এসে বিষয়টি জানালে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

কাজিপুর থানার ওসি শ্যামল কুমার দত্ত জানান, এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে ভূক্তভোগী আঙ্গুরী খাতুন।