কাজিপুরে ভুয়া ডাক্তার ফরহাদুলের প্রতারণায় সর্বশান্ত সাধারণ মানুষ!
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের চর ভানুডাঙ্গা বাজারে ভুয়া ডাক্তার ফরহাদুলের প্রতারণায় সর্বশান্ত সাধারণ মানুষ। এমবিবিএস ডাক্তার ব্যতীত অন্য কোন চিকিৎসক নামের আগে ডাক্তার শব্দ ব্যবহার করতে পারবেন না মহামান্য হাইকোর্ট সহ বিএমডিসি এমন লিখিত নির্দেশনা জারি করলেও তা উপেক্ষা করে নিজেকে একজন ডাক্তার পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার চরভাুডাঙ্গা বাজারে চেম্বার খুলে বসেছেন ফরহাদুল ইসলাম। তিনি নিজের পরিচয় আকর্ষণীয় করে ফুটে তুলতে সাইনবোর্ড, প্যানা, ভিজিটিং কার্ড ও ব্যবস্থাপত্রে নামের পূর্বে ডাক্তার ফরহাদুল ইসলাম উল্লেখসহ নিজেকে একজন মেডিসিন,ডেন্টিস্ট বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দাবি করেছেন। এতে এলাকার ভুক্তভোগী সহ সাধারণ মানুষের অভিযোগ, ফরহাদুল ইসলাম এভাবে চিকিৎসার নামে চেম্বার খুলে বসে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতারণা করে আসছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ তার প্রতারণা কাজে সহযোগিতা করছে স্থানীয় কয়েকজন ঔষধ ব্যবসায়ী। এতে তিনি আগত রোগীর নিকট থেকে ব্যবস্থাপত্রের নামে অতিরিক্ত ফ্রি হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগের আলোকে তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ফরহাদুল ইসলাম কাজিপুর উপজেলার চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের চর ভানুডাঙ্গা গ্রামের দুহা শেখের পুত্র। ফরহাদুল ইসলাম বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ থেকে এফটি কোর্স সম্পন্ন করেন বলে দাবি করলেও কোন সনদ দেখাতে পারেননি ফরহাদুল ইসলাম। চিকিৎসা সনদ না থাকলেও তিনি পলিপাস,পাইস্ সহ নানা জটিল রোগের চিকিৎসা করে আসছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, ফরহাদুল ইসলাম এমবিবিএস কোর্স না করেও এলাকায় নিজেকে ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এদিকে ফরহাদুল ইসলামের প্রতারণার হাত থেকে ভুক্তভোগীদের রক্ষা এবং অপচিকিৎসা বন্ধসহ তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ সহ প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এব্যাপারে ফরহাদুল ইসলাম কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি কোনো এমবিবিএস ডাক্তার নই তবে সবকিছু ম্যানেজ করে চলি তাই কোন সমস্যা হয়না। পরে এ বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ না করার জন্য এ প্রতিবেদককে অনুরোধ করেন।
সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জন জাহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এমবিবিএস ব্যতীত অন্য কোন চিকিৎসক নামের আগে ডাক্তার ব্যবহার করতে পারবেন না, কেননা এ সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারিভাবে এবং হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফরহাদুল ইসলামের বিষয়টি তদন্ত পূর্বক তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।