উল্লাপাড়া স্টেশন মাস্টার কর্মরত অবস্থায় ঘুমানো ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল,প্রশ্ন জনমনে
উল্লাপাড়া প্রতিনিধিঃ মোঃ আব্দুস ছাত্তার উল্লাপাড়া
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় গত বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুপুর ২ টা ২ মিনিটে উল্লাপাড়া স্টেশনের পূর্বে প্রবেশ সম্মুখ পয়েন্টে ইঞ্জিন সহ ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয় এবং ইঞ্জিনসহ ৩ টি এসি বগিতে আগুন ধরে যায় | ওই দিন দুপুর ২ টা ৩ মিনিটে ক্যামেরায় বন্দি উল্লাপাড়া সহকারি স্টেশন মাস্টার কর্তব্যরত অবস্থায় তার অফিস রুমে ঘুমিয়ে থাকার ছবি রাত ৯ টা ৪৫ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে | সেই ভাইরাল হওয়া ছবিটিকে ঘিরে অনেকের মনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে |
বৃহস্পতিবার রাত থেকে ভাইরাল হওয়া ওই ছবিতে দেখা যায় উল্লাপাড়া সহকারী স্টেশন মাস্টার মোঃ রফিকুল ইসলাম কর্তব্যরত অবস্থায় তার অফিস রুমে যে চেয়ারে বসে ঘুমিয়ে আছেন, তার মাথার উপর ঝুলিয়ে রাখা দেয়াল ঘড়ির কাটা তখন ২ টা ৩ মিনিটে অবস্থান করছে । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে স্টেশন মাস্টারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জনগন | তারা বলেছেন এ ভাবে যদি স্টেশন মাস্টার কর্তব্যরত অবস্থায় ঘুমিয়ে পরে তাহলে আরো বড় ধরনের ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে | ওই ঘুমানো ছবি নিয়ে আবার অনেকের মনে প্রশ্নও দেখা দিয়েছে । ভাইরাল হওয়া ঘুমপাড়া ছবি আর ঘড়িতে যে সময় দেখা যাচ্ছে, তা কি ট্রেন দুর্ঘটনার সময়কার, না কি তারও অনেক আগে না পরে তোলা হয়েছে ? অনেকেই বলছে কর্মরত অবস্থায় যে সময়েই ঘুমাক না কেনো সেটা অপরাত ? ওই রেল সড়ক দিয়ে ২৪ ঘন্টায় ২৪ টি ট্রেন যাতায়াত করে থাকে । তাই কর্মরত অবস্থায় স্টেশন মাস্টারের ঘুমানোর সুযোগ নেই ।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উল্লাপাড়া সহকারী স্টেশন মাস্টার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন , যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে তা ট্রেন দুর্ঘটনার পরেরদিন অথবা তার আগের যে কোনো দিন তোলা হতে পারে | সারারাত ডিউটি করার পর ক্লান্ত শরীরে নিজের অজান্তেই ঘুমিয়ে পরেছিলাম | হয়তো কেউ শত্রুতা করে ছবিটি তুলেছে আমাকে হেওপতিপন্ন করতে । এখন প্রশ্ন উঠেছে ছবিটি কি ট্রেন দুর্ঘটনার সময় তোলা নাকি পরে তোলা বা তারও আগে তোলা ? ছবিতে যে ঘড়িটির সময় দেখা যাচ্ছে তার আশেপাশে সময় কি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে কিনা জানতে চাইলে সে বিষয়ে তিনি কোনো উত্তর দেন নি ।