উল্লাপাড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় তিন কমিটির তদন্ত ও গণ মন্তব্য গ্রহণ
উল্লাপাড়া প্রতিনিধিঃ মোঃ আব্দুস ছাত্তার
উল্লাপাড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় গঠিত সকল তদন্ত কমিটি সোমবার দুর্ঘটনা কবলিত এলাকায় তদন্ত এবং গণ মন্তব্য গ্রহণ করেন। এসময় রেল মন্ত্রনালয় গঠিত তদন্ত কমিটি, পাকশী বিভাগীয় তদন্ত কমিটি এবং সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটির কর্মকর্তাগণ উপস্থিত লোকজন, স্থানীয় দোকান মালিক এবং রেলওয়ের কর্মকর্তা কার্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তদন্তকালে রেল মন্ত্রনালয়ের তদন্ত কমিটির প্রধান সিওপিএস (পশ্চিম) মোঃ শহিদুল ইসলাম উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, তারা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপস্থিত লোকজনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করছেন এবং তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করছেন। পরে কমিটির সদস্যরা বসে তাদের চুড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করবেন। প্রতিবেদন জমা দেবার আগ পর্যন্ত তারা এ বিষয়ে আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফিরোজ মাহমুদ বলেন, আমরা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আগামী ৫ কর্মদিব তদন্ত কাজ চলবে । প্রতিবেদন জমা না দেওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে চুড়ান্ত কোন সিদ্ধান্তের কথা বলা সম্ভব নয়। তবে যে কারণে ট্রেনটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে সেটি উদ্ধারে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এর আগে গত শুক্রবার রেল মন্ত্রনালয় গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত কাজ পরিচালনা করেন। এতে নেতৃত্ব দেন রেলওয়ের অতিরিক্ত সচিব ফারুকুজ্জামান। সোমবার তদন্ত কাজে অংশ নেওয়া কমিটিগুলোর অপর সদস্যরা হলেন, পশ্চিম রেলের প্রধান মেকানিক্যাল প্রকৌশলী মৃনাল কান্তি বনিক, প্রধান প্রকৌশলী আল ফাত্তাহ মোহাম্মদ মাসউদুর রহমান, প্রধান সিগন্যাল এবং টেলিকমনিকেশন প্রকৌশলী সুশীল কুমার হালদার, পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফুজ্জামান, উল্লাপাড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার গোলাম রহমান, সিরাজগঞ্জ জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার হোসেন, পাকশী রেলওয়ে সহকারী প্রকৌশলী শিপন আলী প্রমুখ।
উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা থেকে রংপুরগামী ‘রংপুর আন্তঃনগর এক্সপ্রেস’ উল্লাপাড়া রেল স্টেশনে প্রবেশ পথে সম্মুখ পয়েন্টে লাইনচ্যুত হয়ে ৭ টি বগি পড়ে যায় এবং ইঞ্জিন সহ ৩ টি এসি বগিতে আগুন ধরে যায়। ট্রেনের ইঞ্জিনটি ছিটকে রেলপথের পাশে পড়ে। এ সময় ইঞ্জিনের তেলের ট্যাংকি ফেটে আগুন ধরে পার্শবর্তি ৩টি এসি বগিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে । এই ঘটনায় রেলকর্মী সহ ২০ জন আহত হয়। এই দুর্ঘটনার পর রাজধানীর ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ ও উত্তর অঞ্চলের ট্রেন যোগাযোগ প্রায় ৭ ঘন্টা বন্ধ থাকে। উদ্ধার ট্রেন ঘটনাস্থলে এসে রাত ৮ টার দিকে প্লাটফর্মের ৩য় লাইন দিয়ে সাময়িকভাবে ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করে। বর্তমানে ট্রেন চলাচল সাবাবিক হয়েছে । তবে শিডিউল বিপর্যায় রয়েছে ।